এক সময়ে যে সব শব্দ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, তার মধ্যে অনেকগুলো, বিশেষ ভাবে মার্চ ০৮, ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ কেস সনাক্ত হওয়ার পর থেকে, প্রিন্ট ও টেলিভিশনের আলোচনা ও খবরে স্থান পাচ্ছে। কয়েকটি শব্দ যেমন মহামারি, অতিমারি, কোয়ারেনটিন, আইসোলেশন, কেস, কন্ট্রোল, লকডাউন, ভ্যাকসিন, বুস্টার ইত্যাদি এখন ঘরোয়া শব্দে পরিচিতি লাভ করেছে। এনবিপিএইচ-এর বর্তমান ইস্যুটিতে আমাদের দেশে বিরাজমান সমসাময়িক এবং প্রাসঙ্গিক জনস্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচিত হয়েছে।
দুটি নিবন্ধ কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত। একটি “কন্টাক্ট ট্রেসিং” যার মাধ্যমে যে সব ব্যক্তি এই রোগের বিস্তারের সম্ভাব্য উৎস হতে পারে, তাদের সকলের কাছে দ্রুত পৌঁছানোর একটি উপায়, যার ফলশ্রুতিতে পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত না হওয়ায় অবদান রাখবে। অন্যটি, যারা কোভিড থেকে সেরে উঠেছে, তাদের অনলাইনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা।
অনলাইন বিশ্লেষণের সাথে সম্পর্কিত তৃতীয় এবং কিছুটা অনুরূপ নিবন্ধ হল সেল ফোন জরিপের মাধ্যমে দ্রুত মৃত্যুহার সনাক্ত এবং লিপিবদ্ধ করা, যার মাধ্যমে জনসংখ্যার স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য এটিকে একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব। কোভিড-১৯-এ অধিক সংখ্যক মৃত্যুকালিন সময়েও এর কার্যকারিতা নিরুপন করা হয়েছে।
নিপাহ এনসেফালাইটিস নজরদারির একটি আপডেট এই ইস্যুতে স্থান পেয়েছে। ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে নিপাহ এনসেফালাইটিস একটি মৌসুমী সমস্যা হিসাবে অব্যাহত রয়েছে এবং শীতের মাসগুলিতে একটি জনপ্রিয় পানীয় “খেজুরের রসে”র সাথে এটিকে সম্পৃক্ত করা ও ফলখেকো বাদুড়কে এই সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শেষের নিবন্ধটি দেশের মধ্যে বিরাজমান একটি পুষ্টির অভাবজনিত রোগের সাথে সম্পর্কিত যা ক্রমান্বয়ে জাতীয় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশ একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশ হওয়া সত্বেও, বয়স, লিঙ্গ এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে বেশিরভাগ মানুষই ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতায় ভুগছে। বিভিন্ন দেশে গৃহীত সুপারিশমালা এবং নীতিগুলি পর্যবেক্ষণ করে ভিটামিন ডি-র জাতীয় পরিস্থিতিকে কিভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেটি এই নিবন্ধে পর্যালোচনা করা হয়েছে, যা ব্যক্তি এবং জাতীয় পর্যায়ে সমস্যা প্রশমিত করার জন্য গৃহীত হতে পারে।