তাহসিন শাহরিণ খান, আইইডিসিআর ; রাজিয়া সুলতানা, ডি এম সি; রিফাত শাহপার খান, স্বতন্ত্র পরামর্শক; ইকবাল আনসারী খান, আইইডিসিআর
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কোভিড-১৯ এর ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট্যগুলো একেকজন একেক রকম ভাবে প্রকাশ করে। আর প্রায় ৮০% উপসর্গবিহীন অবস্থায় থাকে। ইউ এস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) (২০২১) এর মতে কোভিড-১৯ এর উপসর্গগুলো এই ভাইরাস দ্বারা আক্রমণের ২ থেকে ১৪ দিনের মাঝে প্রকাশ পায়। রোগীদের মাঝে মৃদু থেকে মারাত্মক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে যার মধ্যে দূর্বলতা এবং শুকনো কাশি সবচেয়ে সচরাচরদৃষ্ট উপসর্গ। কিছু কিছু রোগীর শরীরে ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, মাথাব্যথা, গন্ধ না পাওয়া, বমি বা বমি ভাব, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি হতে পারে। উপসর্গের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ চাপ ব্যথা, কথা বলতে না পারা, জেগে থাকতে না পারা ইত্যাদি মারাত্মক অসুস্থতার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থতার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ হয়, তবে কেউ কেউ দীর্ঘমেয়াদে কোভিড-১৯ পরবর্তী সমস্যায় ভোগেন। আবার অনেক সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী পুনঃসংক্রমণের শিকার হন। এই নতুন কোভিড-১৯ রোগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ আক্রান্ত হয় যা ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে, গবেষক ও চিকিৎসকগণ নতুন নতুন উপসগের্র তথ্য জানতে পারছেন। ফলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্থ্যা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে।
বাংলাদেশে ৮ই মার্চ ২০২০-এ প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হবার পর থেকে সংক্রমণের হার এবং অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ঘনবসতি, সীমিত রোগ নির্ণয় সুযোগ ইত্যাদি কারণে ঢাকার পৌর এলাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয় এবং এই গবেষণাটিও তাই ঢাকা কেন্দ্রিক হয়েছিল। ২০২১-এর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আইইডিসিআর কর্তৃক পরীক্ষিত কিছু কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর কাছে ইমেইলের মাধ্যমে তাদের উপসর্গ, প্রাপ্ত চিকিৎসা এবং পরবর্তী অবস্থা জানার উদ্দেশ্যে (গুগল ফর্মে সন্নিবেশিত) একটি অনলাইন জরিপের লিঙ্ক পাঠানো হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে আইইডিসিআর -এর ডেটাবেজ থেকে তাদের বাবা-মায়ের ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করে তাদেরকে এই জরিপ ফরম পাঠানো হয়। এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত হবার যোগ্যতা ছিল- ১) ১লা অক্টোবর-৩১শে ডিসেম্বর ২০২০- এর মধ্যে আইইডিসিআর এর আরটিপিসিআর কর্তৃক শনাক্তকৃত কোভিড-১৯ রোগী; ২) ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ পৌর এলাকার অধিবাসী; ৩)আইইডিসিআর এর ডেটাবেজে ব্যক্তিগত ই-মেইল ও ফোন নম্বর সংরক্ষিত থাকা।
এই অনলাইন জরিপটি ছিল স্বেচ্ছায় আগ্রহীদের নিয়ে এবং জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০২১ সময়ের মধ্যে এবং / অথবা নমুনা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮৪ জন অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচিত সকলের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা। এই সময়ের মধ্যে মোট ৫২২ জন সম্মত অংশগ্রহণকারীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণগুলো এসপিএসএস ভার্সন ২৬.০ (আইবিএম এসপিএসএস ট্রায়াল) ব্যবহার করে করা হয়েছিল। তথ্যসমূহ বিশ্লেষণের সময় অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত এবং তথ্যগত গোপনীয়তা বজায় রাখতে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে নারী-পুরুষের হার ছিল ৩:৭। এর কারণ হতে পারে নারীদের তুলনায় বাইরের কাজে পুরুষের অতিরিক্ত সম্পৃক্ততা। পুরুষদের মাঝে ৮৭% এর উপসর্গ ছিল আর নারীদের মাঝে উপসর্গের হার ছিল ৯২%। অংশগ্রহণকারীদের গড় (মিন) বয়স ছিল ৩৯.৭৬ক্ট১৩.০২ বছর। এদের মাঝে ৩১-৪০ (২৯.৫%) এবং ২১-৩০ বছর (২৫.৩%) বয়সীরা বেশি আক্রান্ত ছিলেন। এর কারণ হতে পারে এদের সামাজিক মেলামেশা ও সক্রিয়তার কারণে রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিও বেশি। এদের গড় বিএমআই বা স্থূলতার নির্দেশক ছিল ২৬.১ক্ট৬.৫২কেজি/ মি২। বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারী স্বাভাবিক সীমার ভেতরে ছিলেন। বিএমআই -এর সাথে লৈঙ্গিক সম্পর্ক একেবারেই স্বতন্ত্র পর্যায়ের ছিল। প্রায় ৩৯.৩% রোগীর আগে থেকে কিছু অসুস্থতা ছিল। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
অংশগ্রহণকারীদের একটি বড় অংশ (৮৮.৫%) বিভিন্ন রকম উপসর্গ প্রকাশ করেছিলেন। গবেষণা চলাকালীন যেসব রোগীর লক্ষণ প্রকাশ করেছিলেন, আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বা যাদের সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে বলে শঙ্কা ছিল তারাই পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন, তাই কোভিড উপসর্গযুক্ত মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও সেটি আসল জনগোষ্ঠীর প্রতিফলন নাও হতে পারে। এই গবেষণাটি যেহেতু পুরো জনসংখ্যার অবস্থা তুলে ধরে না তাই জনগোষ্ঠীর কোভিড-১৯ উপসর্গ প্রকাশ হবার বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে দেখা দেয়া উপসর্গগুলোর মাঝে জ্বর (৭৩.২০%), দুর্বলতা (৭২.৪০%), গন্ধের অনুভূতি হ্রাস (৫৫.৪০%), স্বাদের অনুভূতি হ্রাস (৫৫.৪%), গায়ে ব্যথা (৫৪.৮%), মাথাব্যথা (৫১.৫%), শুকনো কাশি (৫১%), নাক বন্ধ ও সর্দি ঝরা (৪০.২%), গলায় ঘা (২৯.৭%), ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা (২৭.৪%), কফসহ কাশি (২৬%), পাতলা পায়খানা (২৪.৭%), শ্বাসকষ্ট (২২.২%), বমি বা বমি ভাব (২১.৮%), বুকে ব্যথা (২১.৬%), কথা বলতে না পারা (১০.৯%), নিউমোনিয়া (৭.৭%) এবং ত্বকের পরিবর্তন (৬.৯%) ছিল উল্লেখযোগ্য। উপসর্গ দেখা দেয়া রোগীদের মাঝে ৪১% ৫-৮টি উপসর্গে ভুগেছিলেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপসর্গগুলো রোগাক্রান্ত হবার প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যেই মিলিয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৩৩.৩% অংশগ্রহণকারী ২০ দিনের বেশি দূর্বলতায় ভুগেছিলেন।
উল্লেখিত সময়ে যেহেতু এই নভেল ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রমাণ নির্ভর নির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত ছিল তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই উপসর্গের কষ্ট কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়েছিল। বেশী ব্যাবহৃত ঔষধগুলো ছিল অ্যাসিটামিনোফেন, এন্টিহিস্টামিন, নানারকম সাপ্লিমেন্ট যেমন জিঙ্ক, ভিটামিন সি, ই, এ এবং মাল্টিভিটামিন। এছাড়া এ্যান্টিবায়োটিক, এন্টিভাইরাল, কৃমিনাশক, ইত্যাদি যেসব ঔষধের কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকর বৈজ্ঞানিক কোন প্রমাণ ছিল না সেসব ঔষধেরও অযৌক্তিক ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। এ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৫২.৩০% অংশগ্রহণকারী এ্যাজিথ্রোমাইসিন, ৪৮.৩% ডক্সিসাইক্লিন, ৭.৮% অন্যান্য এ্যান্টিবায়োটিক যেমন এ্যামোক্সিসিলিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লিভোফ্লক্সাসিন অথবা পেনিসিলিন জাতীয় এ্যান্টিবায়োটিক নিয়েছিলেন। বেশিরভাগ রোগী (৪৪.৩%) এক ধরনের আর ২৮.২% কম্বিনেশন এ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেছিলেন। প্রায় ২৭% রোগী আইভারমেকটিন এবং ডক্সিসাইক্লিনের কম্বিনেশন গ্রহণ করেছিলেন। অন্যান্য কম্বিনেশন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ক্লোরোকুইন অথবা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের সাথে এ্যাজিথ্রোমাইসিন অথবা অসেল্টামিভির। উপরন্তু ৭.৯%, ৬%, ৩১% অংশগ্রহণকারী যথাক্রমে এ্যান্টিবায়োটিক, এ্যান্টিপ্যারাসাইটিক এবং এ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স এর যে চিত্র দেখা যায় সেই ক্ষেত্রে এইসব তথ্য খুবই আশঙ্কাজনক। এই গবেষণা এটাই প্রমাণ করে যে চিকিৎসা যদি খুবই বিচক্ষণতার সাথে নিয়ম-নীতি মেনে এবং প্রমাণ সাপেক্ষে করা না হয়, ঠিক যেমন এখানে দেখা গেছে, অর্থাৎ অতিমারীর সময়টাতে, তাহলে বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এই গবেষণা থেকে আরও দেখা যায় ৭৭.৭% উপসর্গযুক্ত রোগীদের মধ্যে পরবর্তীতে কোভিড টেস্ট নেগেটিভ হওয়ার পরেও উপসর্গগুলো বিদ্যমান রয়ে গিয়েছিল। বিদ্যমান উপসর্গগুলোর গড় সংখ্যা ছিল ৩.২৮ক্ট৩.৬৯। রয়ে যাওয়া উল্লেখযোগ্য উপসর্গগুলো হলো দূর্বলতা (৫৪.৮%) দুশ্চিন্তা বা হতাশা (৩২.৪%), শরীরে অস্বস্তি (৩০.৩%), গায়ে ব্যথা (২৫.৩%), মাথাব্যথা (২১.৬%), শুকনো কাশি (১৮.৪%), খাবারে অরুচি (১৪.৬%), শ্বাসকষ্ট (১২.৫%), কফসহ কাশি (১০.৭%), স্বাদ কমে যাওয়া (১০.৩%), গন্ধ না পাওয়া (৯.৬%) এবং পাতলা পায়খানা (৯.৬%)। আবার শুরুতে উপসর্গ ছিল না এমন রোগীদের মাঝে ৬৫% -এর কোভিড টেস্ট নেগেটিভ হওয়ার পরে উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। সেই উপসর্গগুলোর মাঝে বিদ্যমান ছিল দূর্বলতা (৫৬.৪%), দুশ্চিন্তা ও হতাশা (৪১%), শরীরে অস্বস্তি (৩৩.৩%), গায়ে ব্যথা (৩৩.৩%), মাথা ব্যাথা (২৮.২%) ইত্যাদি।
এই গবেষণা থেকে এটাও জানা যায় যে যারা বয়স্ক, যাদের আগে থেকেই অন্য কোন অসুস্থতা ছিল এবং যাদের বেশি উপসর্গ ছিল তাদের আরটিপিসিআর নেগেটিভ হতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়ে ছিল। এই গবেষণা থেকে আরো দেখা গেছে যে, এ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা পাওয়া রোগীদের আরটিপিসিআর নেগেটিভ হতে অন্যদের চেয়ে বেশি সময় লেগেছে, যে বিষয়টি আরও নতুন গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত করে।
এই অভিনব ভাইরাস দ্বারা মহামারীর প্রাথমিক পর্যায়ে, যেহেতু কোন পরিচিত নিরাময় বা ব্যবস্থাপনার নির্দেশিকা ছিল না, বিশ্বব্যাপী রোগীদের বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার হয়েছিল, যা ঔষধের অসাধু এবং অযৌক্তিক ব্যবহারের সূচনা করেছে যার ফলস্বরূপ মারাত্মক দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি হতে পারে। এই সময়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত অনেক ছোট-বড় পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য বেরিয়ে এসেছে যা বেশিরভাগই উপযুক্ত প্রমাণ-ভিত্তিক নির্দেশিকা তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। স্বাভাবিক সময়ে এসব অনুশীলন করা না হলেও, অতিমারীর উত্তাল সময়ে সেগুলি বিশ্বব্যাপী প্রয়োগ করা হয়েছিল। এই মহামারীটি আমাদের শিখিয়েছে যে নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের উদীয়মান এবং পুনরুত্থানকারী রোগগুলি মোকাবেলা করার জন্য সব দেশের প্রস্তুতি পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ যেমন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার - এর উচিত যথাযথ এবং সময়োপযোগী বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তৈরি এবং প্রচারের জন্য কঠোরভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা এবং দেশগুলির উচিত পৃথিবীর মানুষের উন্নতির জন্য সেই অনুযায়ী কাজ করা।
অনলাইন সমীক্ষার কার্যকারিতা, এই সমীক্ষার সময় বিশেষভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অনলাইন সমীক্ষা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তিগত সমস্যা, কম স্বাক্ষরতার হার, স্মরণ করতে না পারা ও অন্যান্য পক্ষপাত, এবং সমীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহের অভাবের কারণে সাড়া কম হওয়ার সম্ভাবনা। দীর্ঘমেয়াদে কোভিড এবং জনসংখ্যার উপর এর প্রভাব সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে একটি বর্ধিত সময়ের জন্য ক্লিনিক্যাল, ডায়াগনস্টিক এবং ফলাফলের ডেটাসহ বৃহত্তর সংখ্যক কেস (রোগাক্রান্ত)-এর ফলো-আপের মাধ্যমে এই গবেষণার ফলাফল আরও যাচাই করা প্রয়োজন।
*এটি কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা রোগীদের ওপর অনলাইনে পরিচালিত একটি গবেষণার সারাংশ।