Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

প্রধান সম্পাদকের কথা (vol 3 issue 2)

অধ্যাপক মামুনার রশীদ

এনবিপিএইচ-এর এই সংখ্যাটি বিদ্যমান কয়েকটি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং সেগুলি মোকাবেলা করার জন্য গৃহীত চলমান পরিষেবা এবং সেগুলোর উন্নতির জন্য কয়েকটি নিবন্ধের সাথে সম্পর্কিত। স্পষ্টতই প্রথম যেটি মনে আসে তা হল চলমান মহামারী এবং কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি সেটিকে মোকাবিলা করে চলেছে। বিশ্বের সকল দেশের মতোই আমাদের সামান্য বা কোন প্রস্তুতিই ছিল না। কোন নির্দিষ্ট হাসপাতাল নেই, স্বাস্থ্য প্রদানকারীদের জন্য কোন পিপিই নেই, যৎসামান্য লাইফ সাপোর্ট ইউনিট, অনুমানের উপর ভিত্তি করে ওষুধ প্রয়োগ, নিকটাত্মীয়দের পরিত্যাগ করা, সার্স কোভ-২ নির্ণয়ের লক্ষ্যে পিসিআর পরীক্ষা করার জন্য শুধুমাত্র একটি মাত্র ল্যাব, অগ্রিম অর্থ প্রদান করা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হওয়া ছিল রূঢ় বাস্তবতা। 

সরকারও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্যুৎ গতিতে এগিয়ে এসেছিল। অতি অল্প সময়ের মধ্যে, সারা দেশে কোভিড ভাইরাস শনাক্তের জন্য ৭৫০টি পিসিআর সমৃদ্ধ পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়। নির্দিষ্ট অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধগুলি শুধুমাত্র সংগ্রহ করাই হয়নি, সেগুলি স্থানীয়ভাবে উৎপাদনও শুরু করা হয়। কয়েকটি নির্দিষ্ট ল্যাবে জিনোমিক বিশ্লেষণ করাও সম্ভব হয়। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বুস্টার ডোজসহ সকল জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। জনসাধারণের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রতিক্রিয়া ছিল অভূতপূর্ব। একদিনে এক কোটির ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া একটি মাইলফলক হিসেবে রয়ে যাবে। এমনকি স্থানীয় পর্যায়ে তাপমাত্রা সংবেদনশীল ভ্যাকসিনের জন্য মাইনাস ৭০০ সেন্টিগ্রেড স্টোরেজ সুবিধার ব্যবস্থা করাও আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

এই সংখ্যার আরেকটি প্রবন্ধে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহের একটি অপরিহার্য উপকরণের অংশ হিসাবে মৃত্যুর কারণ রেকর্ড করা। মজার বিষয় হল এই প্রক্রিয়াটি ১৮৭৩ সালে শুরু হয়েছিল কিন্তু অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা রয়ে যায় তিন শতাংশের নিচে, যা পুরো সিস্টেমকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। সিস্টেমকে পুনরুজ্জীবিত করার সাম্প্রতিক ব্যবস্থাগুলি বিশেষ করে মৃত্যুর কারণ নিবন্ধিত করা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।

জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজমের উপর একটি ক্লিনিকাল পেপারও এই ইস্যুতে স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই রোগের জিনগত কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়েছে।

আমরা আশা করি এই ইস্যুর নিবন্ধগুলি তাদের গুরুত্ব এবং জনস্বাস্থ্যের তাৎপর্যের জন্য প্রশংসিত হবে।