Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ জুন ২০২৩

ঢাকা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে সন্দেহজনক ডিপথেরিয়া রোগীর রোগতত্ত্বানুসন্ধান, ফেব্রুয়ারী ২০২২

ডা. ইমামুল মুন্তাসির, আইইডিসিআর

 

 

ভূমিকা

করেনিব্যাক্টেরিয়াম ডিপথেরি নামক জীবাণুর বিষাক্ত গোষ্ঠী দ্বারা সংক্রমিত ডিপথেরিয়া রোগটি একটি টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য অসুখ। সাধারণত এই রোগ শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের নরম মিউকাস ঝিল্লীতে আক্রমণ করে। এখানে একটি ছদ্মঝিল্লী তৈরী হয়ে ধীরে ধীরে শ্বাসনালিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। মারাত্মক অবস্থায় বিষ ছড়িয়ে পড়লে হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দেয়। ডিপথেরিয়ায় রোগটি সরাসরি কফ, থুথু অথবা ত্বকের ক্ষতের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগের সুপ্তাবস্থা সাধারণত ২ থেকে ৫ দিন। একজন রোগীর শ্বাসতন্ত্রের রসে যতদিন সক্রিয় ব্যাকটেরিয়া থাকে (সাধারণত আন্টিবায়োটিক ছাড়া ২ সপ্তাহ বা কদাচিৎ ৬ সপ্তাহ) ততদিনই সে অন্যকে সংক্রমিত করতে সক্ষম। শ্বাসতন্ত্রের ডিপথেরিয়া হলে ডিপথেরিয়া অ্যান্টিটক্সিন (ডিএটি) দিয়ে এর চিকিৎসা শুরু করা হয়। আদর্শগত ভাবে উপসর্গ শুরু হওয়ার ৪৮ ঘন্টা পরে চিকিৎসা শুরু হয়। ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে, টক্সিন বা বিষ উৎপাদন বন্ধ করতে এবং সংক্রমণ ক্ষমতা কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়। সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের জন্য, ডিপথেরিয়া টক্সয়েড টিকা সহ প্রফাইল্যাকটিক অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডিপথেরিয়ার ক্ষেত্রে মৃত্যুর অনুমিত হার ২৯%। কখনো চিকিৎসা পায়নি এবং কখনো টিকাও দেওয়া হয়নি, এমন ব্যক্তিদের মাঝে মৃত্যু হার সবচেয়ে বেশী আর সেক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম বয়সী টিকাবিহীন শিশুর সংখ্যা সর্বাধিক।

 

একসময়ের একটি বড় জনস্বাস্থ্য হুমকি হিসেবে দেখা দেয়া ডিপথেরিয়া বর্তমানে ভ্যাকসিন, অ্যান্টি-টক্সিন এবং অ্যান্টিবায়োটিক প্রবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর পরিমাণে বাস্তুচ্যুত মানুষের (রোহিঙ্গা সম্প্রদায়) আগমন এবং টিকাদান কর্মসূচি তাদের কাছে না পৌঁছানোয় পুরানো এই উদ্বেগ আবার উত্থাপিত হয়েছে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের উচিত সন্দেহজনক ডিপথেরিয়ার রোগীর বিষয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা, যাতে এক্ষেত্রে ডিএটি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। আর জনস্বাস্থ্য কর্মীদের উচিত রিপোর্ট পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রোগীর টিকা দেওয়া থাকুক বা না থাকুক, এর তদন্তে নেমে পড়া। সমস্ত সন্দেহভাজন ডিপথেরিয়ার ক্ষেত্রে রোগীদের আইসোলেটেড বা অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখা উচিত এবং অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা শুরুর আগে দুটি নমুনা সংগ্রহ করা উচিৎ (একটি নাক থেকে ও অন্যটি গলবিল থেকে, যেটি ছদ্ম ঝিল্লীর ওপর এবং চারপাশ দিয়ে ঘুরিয়ে নিতে হবে) । 

 

ডিপথেরিয়া রোগী পেলে ল্যাবরেটরীর নিশ্চিত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করেই অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু করা উচিত।

 

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সদস্য বাংলাদেশ, নিয়মিত সম্প্রসারিত টিকাদান (যেটি ইপিআই নামে অধিক পরিচিত) কর্মসূচিতে ভাল করে আসছিল। কিন্তু, ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নেয়ার পরে, ডিপথেরিয়ার একটি বড় প্রাদুর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যেটি ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়। ভ্যাকসিন বঞ্চিত জনসংখ্যার এই বিশাল অনুপ্রবেশ এবং কোভিড-১৯ মহামারীর আক্রমণের কারণে, ইপিআই-এর মাধ্যমে ডিপথেরিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের দীর্ঘদিনের অর্জিত প্রতিরোধ ক্ষমতা (হার্ড ইমিউনিটি) হুমকির মধ্যে পড়ে। উদ্বেগের বিষয় হল যে ইন্সটিটিউট অফ ইপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর) গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সন্দেহভাজন ডিপথেরিয়া রোগীর রিপোর্ট পেয়ে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিপথেরিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের সতর্কতা আগের চেয়ে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি চিকিৎসক এবং প্রতিটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কোন সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত ডিপথেরিয়া রোগী সম্পর্কে জরুরী ভিত্তিতে জানানোর ব্যাপারে অবহিত আছেন। এই রোগটিকে অবহেলা করার মত অবকাশ আমাদের নেই।

 

২০১৮ সাল থেকে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি সন্দেহভাজন ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত স্থানীয় রোগীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ১৮ জন। এরকমই একটি সন্দেহভাজন ডিপথেরিয়া রোগী সম্পর্কে অবহিত করা একটি চিঠি সুপারিনটেনডেন্ট, সংক্রামক রোগ হাসপাতাল (আইডিএইচ) দ্বারা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইইডিসিআর-এ পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। একজন মেডিকেল অফিসার এবং একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়ে গঠিত একটি দল, কেসটি দ্রুত তদন্ত ও নমুনা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয় কারণ আইইডিসিআর প্রাদুর্ভাব তদন্ত, প্রতিক্রিয়া এবং সংক্রামক রোগ নজরদারির জন্য একটি সরকারী বাধ্যতামূলক প্রতিষ্ঠান। সেই কেসটি এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ঘটনা সারাংশ

সাত বছর বয়সী একটি ছেলে শিশুকে বিগত ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ ১ দিনের জন্য জ্বরের ইতিহাসসহ একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে গেলে তাকে একটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। তার জ্বর না কমায়, এবং কাশি, গলা ব্যথা ও বমি দেখা দেওয়ায় তাকে দু'দিন পরে আবার একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় শিশুটির দুপাশের টনসিল বড় হয়ে গিয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক পরিবর্তন করে সম্পূর্ণ রক্ত পরীক্ষা (সিবিসি, কালচার) এবং বুকের এক্স-রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়। রক্তে কোন জীবাণুর বিস্তার দেখা যায়নি, সিবিসিতে কেবল রক্তশুন্যতার আলামত পাওয়া গিয়েছিল এবং বুকের এক্স-রে স্বাভাবিক ছিল।

 

তিন দিন পরেও অবস্থার কোন উন্নতি না  হওয়ায়, শিশুর বাবা-মা আবার একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের কাছে যান। এইবার, ক্লেবস লোফেলার ব্যাসিলি (কে এল বি) নামক জীবানু সন্দেহে স্টেইনিং এবং কালচারের জন্য গলার সোয়াব পরীক্ষা এবং একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে রেফার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আবারও অ্যান্টিবায়োটিক পরিবর্তন করে দেন এবং পরীক্ষার রিপোর্ট সহ ফলোআপের পরামর্শ দেন। পরবর্তী ফলোআপে, কে এল বি-এর উপস্থিতি পাওয়া যায় কিন্তু এর বিস্তার দেখা যায়নি। ডিপথেরিয়া সন্দেহে তাকে ঢাকার সংক্রামক রোগ হাসপাতাল (আইডিএইচ)-এ রেফার করা হয়। আইডিএইচ-এ, শিশুটির শিরাপথে এজিথ্রমাইসিন নামক এন্টিবায়টিক শুরু করা হয় এবং পরে আইইডিসিআর-কে ডিপথেরিয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করার অনুরোধ করা হয়। ২০শে ফেব্রুয়ারি, আইইডিসিআর এর একটি দল রোগীর কাছ থেকে গলার, নাকের শ্লেষ্মা এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে এবং পরীক্ষার জন্য মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগে পাঠায়। উন্নতির লক্ষণ দেখা যাওয়ায় রোগীকে আইডিএইচ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১ম সপ্তাহ এবং এক মাসের শেষে ফলো আপ করা হয়।

 

ফলাফল

সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের অনুসন্ধান বা কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং

মোট ৭ জন কন্ট্যাক্ট শনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে মাত্র একজনের দাঁতের ব্যথায় জ্বর হয়েছিল। ওই দিনই তার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষাগারে নমুনা থেকে উল্লেখযোগ্য কোন কিছু পাওয়া যায়নি।

 

পরীক্ষাগারের ফলাফল

আইইডিসিআর-এ, গ্রাম স্টেইনিং ও গলার শ্লেষ্মার কালচারের মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষায় কোরিনেব্যাক্টেরিয়াম ডিপথেরিয়ার পরিবর্তে নিসেরিয়া সিক্কা এর বিস্তার পাওয়া যায়। কিন্তু পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) পদ্ধতিতে কোনো ডিপথেরিয়া জীবানু শনাক্ত করা যায়নি। শুধুমাত্র একজন কনট্যাক্টের মাঝে অসুস্থতার লক্ষণ ছিল কিন্তু তার কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকেও সংশ্লিষ্ট কিছু পাওয়া যায়নি।

আলোচনা

কোরিনেব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরিয়া হল একটি গ্রাম-পজিটিভ রড প্রজাতির জীবাণু যা শ্বাসনালীর হাঁচি, কাশি, কফ, থুথু এবং সংক্রামিত ত্বকের ক্ষতের মাধ্যমে ছড়ায়। বাংলাদেশে শীতকালে এর প্রকোপ বেশী থাকে। অন্যদিকে, নেইসেরিয়া সিক্কা, একটি গ্রাম-নেগেটিভ ডিপ্লোকক্কাস জাতীয় জীবাণু, যা শ্বাসনালীর উপরিভাগে বসবাসকারী অনেক নন-প্যাথোজেনিক বা রোগ সৃষ্টি করেনা এমন জীবানুর মধ্যে একটি। তবে কখনো কখনো এটি অন্য রকম আচরণ করে এবং সুবিধা পেলে সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এ কারণে মেনিনজাইটিস, এন্ডোকার্ডাইটিস, পেরিটোনাইটিস, অস্টিওমাইলাইটিস এবং সংক্রামক ডিসাইটিসের মতো কিছু প্রাণঘাতী সংক্রমণের কারণ হিসাবে একে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

আমাদের রোগীকে ইপিআই সময়সূচী অনুযায়ী টিকা দেওয়া হয়েছিল। আক্রান্ত স্থানে কোনো ছদ্ম ঝিল্লী বা ঝিল্লীর মতো গঠন পরিলক্ষিত হয়নি। ল্যাবরেটরির ফলাফল থেকে আমরা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানতে পারি যে জীবানুটি ছিল নিসেরিয়া সিক্কা। তাই, প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন ডিপথেরিয়ার কেসটিকে পরবর্তীতে নেসেরিয়া সিক্কা সংক্রমণ হিসেবে ধরে নেয়া হয়।

 

এই রোগীর টনসিলাইটিসের রোগ প্রক্রিয়াটি ছিল অমীমাংসিত। আমাদের রোগী একটি যত্নবান পরিবার সদস্য ছিল। রোগী আর তার পরিবারকে টিকা দেওয়া হয়েছিল এবং বাবা-মা উভয়েই তার স্বাস্থ্যের জন্য সতর্ক এবং উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু শিশুটি বারবার টনসিলাইটিসে ভুগছিল এবং গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের চিকিৎসাধীন ছিল। সাম্প্রতিক চিকিৎসা নির্দেশনায়, তাকে স্টেরয়েডযুক্ত নাকের স্প্রে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল। টনসিলাইটিসের রিপোর্ট পাওয়ার সময় সে এটি ব্যবহার করছিল। এই ওষুধ ব্যবহারের একটা সম্ভাব্যতা হতে পারে যে এটি গলবিলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে নিসেরিয়া সিক্কার সংক্রমণ বিস্তারের জন্য একটি সুবিধা করে দেয় বলে তার এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।

 

উপসংহার

আমাদের রোগীর ক্ষেত্রে শ্বাসনালীর উপরিভাগের উপসর্গগুলি প্রকাশ পেয়েছিল এবং যা আধুনিকতম প্রজন্মের বেশ কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিককেও প্রতিহত করে। যদিও পরীক্ষাগারের ফলাফলগুলি ডিপথেরিয়ার পক্ষে ছিল না, কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিত যে নমুনা নেওয়ার আগে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রোগীকে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছিল। সুতরাং, আমরা ডিপথেরিয়া হওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিতে পারি না। যাইহোক, আমাদের উচিত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রাথমিক এবং অযৌক্তিক ব্যবহারের উপর সর্বোচ্চ সজাগ দৃষ্টি দেওয়া, কারণ এটি রোগ তত্ত্বানুসন্ধানের অগ্রগতিতে বাধা দেয় ও অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতায় সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে।

 

সুপারিশমালা

ডিপথেরিয়া হল ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশন (আইএইচআর) এর অধীনে একটি অবশ্য জ্ঞাপনীয় রোগ। ডিপথেরিয়া টক্সয়েড ভ্যাক্সিন দ্বারা টিকাদানই এই টক্সিন মেডিয়েটেড রোগ প্রতিরোধ করার একমাত্র কার্যকরি উপায়। টক্সিজেনিক ডিপথেরিয়ার মারাত্মক বা প্রাণসংশয়ী অবস্থা থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য জনগণকে বিস্তৃত টিকাদানের পরিধির ভেতর নিয়ে আসা এবং সেটা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ভ্রমণকারী, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক কর্মীদের বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। ঘটনা ঘটলে, দ্রুত ক্লিনিকাল শনাক্তি করণ, ল্যাবরেটরি পরীক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং উপযুক্ত চিকিৎসা অপরিহার্য, যার মধ্যে দ্রুত অনুসন্ধান এবং রোগীর কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপোরি, অ্যান্টিবায়োটিক এবং স্টেরয়েডের যৌক্তিক ব্যবহার অনুসরণ করা উচিৎ যাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ এবং অবাঞ্ছিত সুবিধাবাদী সংক্রমণ এড়ানো যায়।