পরিচিতি
ভাইরাসটির দেহের পৃষ্ঠতলে মুকুটের মতো সুঁচালো অংশের জন্য এর নাম দেয়া হয়েছে করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসটি একটি বিশাল ভাইরাস পরিবারের সদস্য যারা মৃদু সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে মারাত্মক অসুস্থতা ঘটাতে পারে। এদের মধ্যে মূল চারটি অনুদল রয়েছে যাদের বলা হয় আলফা, বিটা, গামা এবং ডেল্টা। ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত করা হয়। যে ৪টি করোনাভাইরাস মানবদেহে আক্রমণ করে এবং সাধারণ সর্দিজ্বরের উপদ্রব ঘটায় সেগুলো হলো-
১। ২২৯ই (আলফা করোনাভাইরাস)
২। এনএল৬৩ (আলফা করোনাভাইরাস)
৩। ওসি৪৩ (বিটা করোনাভাইরাস)
৪। এইচকেইউ১ (বিটা করোনাভাইরাস)
করোনাভাইরাস একটি প্রাণীবাহিত রোগ যার অর্থ এটি প্রাণী এবং মানুষের মাঝে বিস্তার লাভ করে। মাঝে মাঝে যে করোনাভাইরাস প্রাণীকে আক্রান্ত করে তা পরিবর্তিত হয়ে মানুষের মাঝে সংক্রমণ ঘটায় বলে নতুন করোনাভাইরাস এর উদ্ভব ঘটে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হল ২০১৯ এন- কোভি, সার্স-কোভি এবং মার্স-কোভি।
বিস্তারিত গবেষণা থেকে জানা যায় সার্স কোভি মানুষের মাঝে ছড়িয়েছে বিড়াল প্রজাতির প্রাণী ‘খাটাশ’ থেকে আর মার্স কোভি আরবীয় উট থেকে। প্রাণীদের মাঝে আরও অনেক করোনাভাইরাস বিচরণ করছে যা মানুষকে সংক্রমিত করে না।
সম্প্রতি ২০১৯ সালের শেষভাগে সার্স-কোভ-২ নামে নতুন একটি করোনাভাইরাসের উদ্ভব ঘটে এবং রাষ্ট্রভেদে ০.১% থেকে ২৫% এর-ও বেশী মৃত্যুঝুঁকিসহ (কেস ফ্যাটালিটি রেশিও) মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করে।
নোভেল ভাইরাস
এই নতুন বা নোভেল করোনাভাইরাস, যাকে এখন ‘কোভিড-১৯’ বলা হচ্ছে (২০১৯-এন কোভি), ২০১৯ এর ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে উদ্ভূত প্রাদুর্ভাবের আগে কখনো দেখা যায়নি। এই ভাইরাসটি সার্স পরিবারের সদস্য কিন্তু একই ভাইরাস নয়।
কোভিড-১৯
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে এই ভাইরাসকে ‘কোভিড-১৯’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক নামকরণ করে। এখানে ‘কো’ কথাটি এসেছে ‘করোনা’ থেকে, ‘ভি’- ভাইরাস থেকে, ‘ডি’- ‘ডিজিজ’ (রোগ) আর ‘১৯’- ২০১৯ থেকে এসেছে।
রোগের প্রকাশ
বেশীর ভাগ করোনাভাইরাস মৃত্যু ঘটায় না। কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ৮০% রোগীই মৃদু বা উপসর্গহীন (যদিও প্রকৃত তথ্য এখনো অজানা) ১৫% এর তীব্র এবং অক্সিজেন প্রয়োজন হয় আর ৫% এর মারাত্মক জটিলতা দেখা দেয় যাদের ভেন্টিলেশন প্রয়োজন হয়। বয়স্ক এবং যাদের আগে থেকে দীর্ঘ মেয়াদী অসুস্থতা রয়েছে (যেমন ডায়াবেটিস, এজমা ও হৃদরোগ) তারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মারাত্মক অসুস্থতার আশংকা থাকে। বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অন্যরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশী।
সংক্রমণের উৎস
রোগের প্রাথমিক উৎস এখন র্পযন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি এবং তা এখনও সক্রিয় থাকতে পারে। তাত্ত্বিক অনুমান হচ্ছেঃ
ক. কাঁচা বা কম সেদ্ধ/রান্না করা প্রাণীজ খাবার খেলে
খ. যে কোন প্রাণীর কাঁচা মাংস, কাঁচা দুধ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিক ও নিরাপদ উপায়ে নাড়াচাড়া না করলে (রান্না বা ব্যবসা বা লালনপালন এর জন্য)
গ. কাঁচা খাবার এর সংমিশ্রণে অন্য খাবার দূষিত হলে (স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা না মেনে চললে)
ঘ. সরাসরি অসুস্থ / বন্যপ্রাণীর সংস্পর্শে এলে
ভাইরাস সংক্রমণ / ছড়ানোর উপায়
মানব দেহে ভাইরাস সংক্রমণের শুরুটা এখনও অস্পষ্ট। বর্তমানে সবচাইতে সম্ভাব্য অনুমান হলো, এই সংক্রমণ চক্রের একটি পর্যায়ে আশ্রয়দাতা মাধ্যম হিসেবে কোন প্রাণীর ভূমিকা রয়েছে। চীনা এবং বিদেশী বিশেষজ্ঞ দলটি এ বিষয়ে কাজ করছেন এবং নতুন ভাইরাসের উৎস ‘প্রাণীটি’কে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। কোভিড-১৯ এর প্রাণীজ উৎস চিহ্নিত করা গেলে এটা নিশ্চিত হবে যে, একই ভাইরাস দিয়ে এই ধরণের মহামারী ঘটবে না এবং উহান প্রদেশে রোগটির প্রাথমিক বিস্তার বিষয়ে বোঝাও সহজ হবে। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে মানুষকে একই ধরনের প্রাণীবাহিত রোগ থেকে মুক্ত রাখা যাবে।
কোভিড-১৯ মানুষ থেকে মানুষে যে ছড়ায় তা নিশ্চিত হওয়া গেছে কিন্তু সংক্রমণের পুরো ধরণটা বুঝতে আরও তথ্য প্রয়োজন। কোভিড-১৯ মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি গেলে (<৩ ফুট), যেমন একই বাসস্থান বা কর্মক্ষেত্র বা স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে, কথা বলার সময়, হাঁচি/কাশি, কফ, লালা বা নাকের পানির সংস্পর্শে এলে।
কমিউনিটিতে রোগ ছড়ানোর সম্ভাব্যতা
সাম্প্রতিক একটি মেটা এনালাইটিক গবেষনায় দেখা যায় উপসর্গবিহীন ব্যক্তিদের কাছ থেকে রোগ ছড়ানোর সম্ভাব্যতা ৪২% কম, যেখানে সবমিলিয়ে উপসর্গহীন রোগীর অনুপাত ১৭%।
প্রথম উদ্ভব ও বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি
চীনের উহান প্রদেশের পৌর এলাকায় ২০১৯ এর ডিসেম্বরের শেষ দিকে তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের প্রথম রোগী শনাক্ত হবার পর চীনা কর্তৃপক্ষ নোভেল করোনাভাইরাস কে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে। পর্যায়ক্রমে চীনের অন্যান্য অংশে এবং অন্য দেশগুলোতেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০শে জানুয়ারী ২০২০ তারিখে কোভিড-১৯ সংক্রমণকে জরুরী আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতি হিসেবে ঘোষণা করে এবং ২০২০ এর ১১ই মার্চ একে প্যান্ডেমিক (বৈশ্বিক মহামারী) হিসেবে ঘোষণা করে।
৩১শে ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে এ পর্যন্ত (২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২০) বিশ্বে ৩৩,২৪৯,৫৬৩ রোগী শনাক্ত করা গেছে যাদের মাঝে ১,০০০,০৪০ জন মারা গিয়েছেন। সংস্থাটি বলছে এ্যান্টার্ক্টিকা মহাদেশ ছাড়া সব মহাদেশেই এইরোগ তার পদচিহ্ন ফেলে চলেছে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ এর জরুরী অবস্থার প্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আইইডিসিআর কোভিড-১৯ পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর কোভিড -১৯ সংক্রান্ত সব রকম তথ্য সাহায্যের জন্য হটলাইন পরিচালনা করছে ।
২৬শে র্মাচ থেকে ৩০শে মে র্পযন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। বন্ধ ছিল সকল গণপরিবহণ সহ রেল, বিমান ও নৌ পরিবহণ । ৩১শে মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস খুলে দেয়া হয়েছে (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৬ই আগস্ট)। ধাপে ধাপে পরিবহণ সেবা চালু হচ্ছে।
সংক্রমণের হার বিবেচনা করে এলাকা ভিত্তিক সুরক্ষা পরিকল্পনায় লাল, হলুদ, সবুজ এলাকা ভাগের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
সকল প্রকার জনসমাগম নরিুৎসাহতি করা হয়েছে।
বাজার, র্কমক্ষেত্রে ও পরিবহণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ৩৬০,৫৫৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের মাঝে ৫,১৯৩ জন মারা গিয়েছে।
৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন আর মৃত্যু হার পঞ্চার্শোদ্ধদের মাঝে বেশি।
প্রতিটি জেলা হাসপাতালে কোভিড-১৯ কর্নার ও আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে।
ঢাকায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি হিসেবে ৭ হাজার ২৫০ শয্যা প্রস্তুত আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনামতে এখন ৫০ শয্যার বেশি যেকোন হাসপাতালে, হোক সেটা সরকারি বা বেসরকারি পৃথক ব্যবস্থাপনায়, কোভিড-ননকোভিড দুই ধরনের রোগীই সেবা পাবেন।
সংকটাপন্ন রোগী নিয়ে কোথায় যাবেন?
নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সুবিধা আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল, মিরপুর লালকুঠি হাসপাতাল, আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, রিজেন্ট হাসপাতাল ও সাজেদা ফাউন্ডেশেনে।
আসন থাকা সাপেক্ষে এই হাসপাতালগুলোয় রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। বসুন্ধরা কোভিড হাসপাতাল ও আনোয়ার খান মর্ডার্ন হাসপাতালে উপসর্গ আছে কিন্তু শনাক্ত হননি, এমন রোগীরা আইসোলেশনে থাকতে পারেন।
মাঝারি উপসর্গের জন্য কোথায় যাবেন?
যাদের শুধুমাত্র অক্সিজেন সিলিন্ডার হলেই চলবে, তাদের জন্য ৪০ শয্যার রেলওয়ে হাসপাতাল আছে। এখানে আইসিইউ বা ডায়ালাইসিস সেবার ব্যবস্থা নেই।
প্রস্তুত গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল : মহাখালিতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ২৫০শয্যা এবং ২৬ টি আইসিইউ শয্যাসহ দুটি ডায়ালাইসিস মেশিন নিয়ে প্রস্তুত আছে
শিগগির যুক্ত হবে আরও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান: বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।
করোনা উপসর্গ দেখা দিলে কোথায় যাবেন?
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে এমন আশঙ্কা হলে অনলাইনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফ্লু কর্ণারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে কিংবা ব্র্যাক পরিচালিত কিয়স্কে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে ১০০- ৩০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরে বেসরকারি ১৩ টি প্রতিষ্ঠানকে, হাসপাতালে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও হাসপাতাল প্রতিনিধি বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ বেঁধে দিয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে সরকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নমুনা দিতে হলে আগে থেকেই অনলাইনে সাক্ষাৎকার ফরম পূরণ করতে হবে। বিএসএমএমইউএর ওয়েবসাইটের ডানদিকে ফিভার ক্লিনিকের অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য ক্লিক করুন লেখা বাটনে চাপলেই পাওয়া যাবে সাক্ষাৎকার ফরমটি। যাঁরা এই ফরম পূরণ করবেন তাঁদের মুঠোফোন নম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট নম্বর ০১৫৫২১৪৬২০২ থেকে খুদে বার্তা পাঠানো হবে। এই খুদে বার্তা দেখালে পরীক্ষা করা যাবে।
ব্র্যাকের কিয়স্ক:
ব্র্যাক ঢাকার ৩৪ টি জায়গায় কিয়স্ক স্থাপন করেছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা সরকার নির্ধারিত গবেষণাগারে পৌঁছে দেন।
দৈনিক এক একটি বুথ থেকে তাঁরা ত্রিশটি নমুনা সংগ্রহ করে থাকেন।
ব্র্যাকের কেন্দ্রগুলো রয়েছে
১. সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল - মিরপুর ১৩
২. ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার-মিরপুর ১৩
৩. আনোয়ারা মুসলিম গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাউনিয়া
৪. উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ, উত্তরা
৫. উত্তরা হাই স্কুল (ডিএনসিসি) - সেক্টর-৬, উত্তরা
৬. ১০ নং কমিউনিটি সেন্টার (ডিএনসিসি) - সেক্টর ৬, উত্তরা
৭. উত্তরখান জেনারেল হাসপাতাল- উত্তরখান
৮. ওয়ার্ড ৪৫ নবজাগরণ ক্লাব
৯. জামতলা - ইসমাঈলদেওয়ান মহল্লা, আজিমপুর, দক্ষিণখান
১০. পল্টন কমিউনটি সেন্টার- নয়াপল্টন, পল্টন থানার উল্টোদিকে
১১. কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল - ১ ও ২ (শুধুমাত্র পুলিশ সদস্যদের জন্য)
১২. প্রেস ক্লাব - (তোপখানা)
১৩. ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যাত্রাবাড়ি কমিউনিটি সেন্টার - শহীদ ফারুক সড়ক, জলাপাড়া, যাত্রাবাড়ি
১৪. সুইপার কলোনী, দয়াগঞ্জ বস্তি যাত্রাবাড়ি
১৫. হাজী জুম্মন কমিউনিটি সেন্টার - নয়াবাজার মোড়, হাজী রশিদ লেন
১৬. বাসাবো কমিউনিটি সেন্টার বাসাবো
১৭. ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সেগুনবাগিচা
১৮. আমলিগোলা পার্ক ও কমিউনিটি সেন্টার ধানমন্ডি
১৯. সূচনা কমিউনিটি সেন্টার, মোহাম্মদপুর
২০. আসাদুজ্জামান খান কামাল কমিউনিটি সেন্টার (ডিএনসিসি) - মধুবাগ, মগবাজার
২১. মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম চৌধুরী কমিউনিটি সেন্টার , কামরাঙ্গীরচর
২২. শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গি
২৩. উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স সাভার
নারায়ণগঞ্জ
১. নারায়ণগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ
২. এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়, সিদ্ধিরগঞ্জ
অন্যান্য
১. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে ফ্লু কর্নার থেকে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
২. ঢাকা মেডিকেল কলেজে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে বা উপসর্গ নিয়ে যারা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি আছেন কিংবা অন্যকোনো রোগে ভর্তি রোগীরা পরীক্ষা করাতে পারবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
৩. মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও চাইল্ড হেলথ কেয়ার রিসার্চ ফউন্ডেশন ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ঢাকার যেখানে নমুনা পরীক্ষা করা যাবে:
১. এভারকেয়ার হসপিটাল, ঢাকা
২. স্কয়ার হসপিটাল, ঢাকা
৩. প্রাভা হেলথ বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা
৪. ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল,
ঢাকা
৫. আনওয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, ঢাকা
৬. এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, ঢাকা
৭. ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেড, ঢাকা
৮. বায়োমেড ডায়াগনস্টিক, ঢাকা
৯. ডিএমএফআর মলিকিউলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, ঢাকা
১০. ল্যাব এইড হসপিটাল, ঢাকা
১১. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস জেনারেল হসপিটাল, ঢাকা
১২. কেয়ার মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
ঢাকার বাইরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা যাবে:
১. টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড রাফাতউল্লাহ কমিউনিটি হসপিটাল, বগুড়া
২. শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি (প্রাইভেট) লিমিটেড, চট্টগ্রাম
অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহ না করে শুধু পরীক্ষা হচ্ছে:
১. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম
২. চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
৩. কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
৪. কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ
৫. আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালি
৬. নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৭. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
৮. শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুর
৯. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
১০. শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ
১১. এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর
১২. সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
১৩. খুলনা মেডিকেল কলেজ
১৪.শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল
১৫. ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ
১৬. রংপুর মেডিকেল কলেজ
১৭. কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ
১৮. নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল
১৯. কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল
*এসব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগী বা বহির্বিভাগে আসা রোগীর নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর বাইরে, নমুনা সংগ্রহের পর পরীক্ষা করা হচ্ছে কয়েকটি গবেষণাগারে। যেমন:
১. চিটাগাং ভেটেরেনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সে ইনস্টিটিউট
২. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
৩. গাজী কোভিড-১৯ পিসিআর ল্যাব, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
গবেষণাগারগুলো যেখানে:
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোর ল্যাবে পরীক্ষা হতে পারে। এর বাইরেও
নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে নিচের গবেষণাগারগুলোয়।
১. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার
২. আইইডিসিআর
৩. জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান
৪. আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান
৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
৬. চাইল্ড হেলথ কেয়ার রিসার্চ ফউন্ডেশন ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল
৭. র্আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি ও সিএমএইচ
৮. ঢাকা মেডিকেল কলেজ
৯. আইদেশি (বেসরকারি)
১০. বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট
১১. জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান
১২. মুগদা মেডিকেল কলেজ
১৩. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
১৪. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল