Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কোভিড-১৯ এর রোগতত্ত্ব

আইইডিসিআর

 

কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংজ্ঞা-

যাদের কোভিড-১৯ সংক্রমিত করতে পারেঃ সন্দেহজনক রোগী

ক. কোন রোগীর শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থাকা (অর্থাৎ জ্বর আছে সাথে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের অন্তত একটি উপসর্গ আছে যেমন কফ বা শ্বাসকষ্ট) এবং এই অবস্থা পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায় এমন কোন কারণ না থাকা এবং লক্ষণ দেখা দেবার আগের ১৪ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোন দেশে ভ্রমণ বা বসবাসের ইতিহাস থাকা

অথবা

খ. যে রোগীর শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ রয়েছে এবং উপসর্গ দেখা দেবার আগের ১৪ দিনে তিনি নিশ্চিত বা সন্দেহ করা হচ্ছে এমন কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন

অথবা

গ. যে রোগীর শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ রয়েছে (অর্থাৎ জ্বর আছে সাথে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের অন্তত একটি উপসর্গ আছে যেমন কফ বা শ্বাসকষ্ট) এবং যাকে হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার এবং এই অবস্থা পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায় এমন কোন কারণ নেই 

সম্ভবতঃ যিনি কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেনঃ সম্ভাব্য রোগী

এরকম সন্দেহ করা যাবে যদি গবেষণাগারের কোভিড-১৯ পরীক্ষায় কোন সিদ্ধান্তে আসা না যায়

যিনি নিশ্চিতভাবেই কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেনঃ নিশ্চিত রোগী

উপসর্গসহ বা ছাড়া যে ব্যক্তিরই কোভিড-১৯ গবেষণাগারে শনাক্ত হয়েছে। 

সংস্পর্শে আসার সংজ্ঞা

কোন ব্যক্তি যদি উপসর্গ দেখা দেবার পরের ১৪ দিনের মাঝে নীচের যেকোন একটি কর্মকান্ডে জড়িত থাকেন তবেই তিনি সংস্পর্শিত।

 ক. যথাযথ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার না করে কোভিড-১৯ রোগীর সরাসরি যত্ন নেয়া

 খ. কোভিড-১৯ রোগীর সাথে একই বদ্ধ পরিবেশে/কাছাকাছি অবস্থান করা (যেমন কর্মক্ষেত্র, ক্লাসরুম, বাসাবাড়ী বা জনসমাগম)

  গ. যে কোন যানবাহনে কোভিড-১৯ রোগীর সাথে খুব কাছাকাছি ১ মিটারের-ও কম দূরত্বে অবস্থান করে ভ্রমণ করা। 

সুপ্তিকাল

সুপ্তিকাল হলো দেহের রোগ সংক্রমণের জীবাণু প্রবেশের পর থেকে উপসর্গসমূহ প্রকাশ পাবার সময়টুকু। বর্তমানে নিরূপিত সুপ্তিকাল হলো ২ থেকে ১৪ দিন। আরও তথ্য পেলে আরও নিখুঁত ভাবে এটি নিরূপণ করা যাবে।

মানবদেহের বাইরে করোনাভাইরাসের জীবনকাল

এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায় যে নোভেল করোনা ভাইরাসটি মানবদেহের বাইরে মাত্র কয়েক ঘন্টা বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক উপাত্ত সময়টা নিশ্চিত করতে পারে নি। সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে বা সাধারণ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করেই করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকা যায়।

রোগের উপসর্গ

সাধারণত নিচের উপসর্গগুলো দেখা দেয়-

১. জ্বর (১০০ ফারেনহাইট বা তার বেশী)

২. কাশি/কফ

৩. শ্বাসকষ্ট

৪. মারাত্মক অবস্থায় নিউমোনিয়া, হঠাৎ শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, কিডনী বৈকল্য থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

৫. মৃদু থেকে তীব্র নিউমোনিয়া

৬. তীব্র শ্বাসকষ্ট

৭. সেপসিস

৮. সেপ্টিক শক

এছাড়া ডায়রিয়া, মানসিক অবসাদ, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া এবং হাতে পায়ে ব্যাথা থাকা ইত্যাদিও এখন উপসর্গ হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

 

গবেষণাগারে রোগ নির্ণয় 

নির্দেশিত ব্যক্তিঃ

যেকোন সন্দেহভাজন/ সম্ভাব্য ব্যক্তিকে পরীক্ষা করতে হবে

নির্দেশিত পরীক্ষাঃ

১. আরটি-পিসিআর       ২. এন্টিজেন টেস্ট

নির্দেশিত সংগ্রহযোগ্য নমুনা (আরটি- পিসিআর)

রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে শ্বাসতন্ত্রের নীচের অংশের নমুনা, উপরের অংশের নমুনার (যেমন- গলা ও নাকের রস, নাকের পানি বা সর্দি) চেয়ে অধিক কার্যকরী।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ রোগ পরীক্ষার জন্য সম্ভব হলে শ্বাসতন্ত্রের নীচের অংশের নমুনা (যেমন- কফ, গলনালীর রস, ফুসফুসের ভেতরে রস এবং জোরে কেশে বের করা কফ) সংগ্রহের নির্দেশনা দেয়।

যদি রোগীর নিম্নশ্বাসতন্ত্রে রোগ সংক্রমণের উপসর্গ না থাকে বা সেখানের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও নমুনা সংগ্রহ করা না যায়, তাহলে উপরের অংশের নমুনা যেমন নাসাগলবিল এর রস বা নাসাগলবিল এবং মুখগলবিল এর যৌথ নমুনা সংগ্রহ করতে হবে।

যদি কোন রোগী কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে গভীর সন্দেহভাজন হয় এবং একবার পরীক্ষার ফলাফলে ভাইরাস না মেলে তবে আবার নমুনা নিতে হবে। পাশাপাশি সঠিক চিকিৎসার জন্য রক্ত ও রেডিওলজিকাল পরীক্ষারও প্রয়োজন হতে পারে। 

 

এন্টিজেন পরীক্ষার জন্য নির্দেশনা

এন্টিজেন পরীক্ষণ উপসর্গযুক্ত রোগীদের লক্ষণ দেখা দেবার প্রথম ৭ দিনের মধ্যে করার নির্দেশনা রয়েছে।