Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সকলের জন্য প্রতিরোধক ব্যবস্থা

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন, ডা. আহমেদ নওশের আলম, ডা. এএসএম আলমগীর, আইইডিসিআর

 

 

ব্যক্তিগত পর্যায়েও অনেক কিছু করার রয়েছে। যেমন

চলাচল বা ভ্রমণ

∗ ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকায় ভ্রমণ না করা

∗ শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, প্রি-স্কুল, স্কুল বা কর্ম ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে মশা নিয়ন্ত্রণ করা

∗ কারো যদি জ্বর হয় তাহলে সম্ভব হলে বাড়িতে বিশ্রাম নেয়া 

ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা

∗ পোশাক পরিচ্ছদ: ফুলহাতা জামা, লম্বা পাজামা, মোজা, জুতা ইত্যাদি পরে যতদূর সম্ভব ত্বক ঢেকে রাখা

∗ রিপেলেন্ট: বড়রা অন্ততপক্ষে ১০% ডাইইথাইল- টলুয়ামাইড রিপেলেন্ট (মশা দূরে রাখার লোশন) ব্যবহার করতে পারেন। লম্বা সময়ের জন্য হলে আরো শক্তিশালী মাত্রায়। তবে ছোটদের জন্যে এটি উপযুক্ত নয়

∗ মশা ধরা জাল: অনেক রকমের মশা ধরার জাল বা মশারী পাওয়া যায় যাতে মশা মারার ওষুধ লাগানো থাকে, এগুলো ব্যবহার করাই ভাল যাতে মশারীর গায়ে লেগে দাঁড়ালেও মশা কামড় দেবার আগেই ওটা মারা পড়ে

∗ দরজা জানালার স্ক্রিন: দরজা ও জানালাগুলোতে বিশেষ জালি লাগালে ঘরে মশার প্রবেশ ঠেকানো সম্ভব

∗ সময় নির্ধারণ:  ভোর, গোধূলী এবং সন্ধ্যার সময় বের না হওয়াই ভালো

∗ একজন ডেঙ্গু রোগী নিজে আক্রান্ত হবার ৪ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১২ দিন পর্যন্ত এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়াতে পারেন। তাই  উপসর্গ দেখা দেবার পর থেকে তাকে মশারির ভেতরে রাখাই শ্রেয়

পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা

∗ জমে থাকা পানি : এডিস মশা পরিষ্কার স্থির পানিতে ডিম পাড়ে। ঘরের মাঝে কোথাও পানি জমতে দেয়া যাবে না। যেমন ; ছাদের কোণা, পড়ে থাকা খালি কৌটো, উঠোন, বাতিল টায়ার, ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের তলা, নির্মাণাধীন ভবনের আঙিনা, এসব জায়গায় যেন ২-৩ দিনের বেশি পানি না জমে থাকে

∗ বালতি বা ধারকগুলো ব্যবহৃত না হলে উলটে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে

∗ ফুলের টব আর ফুলদানী থেকে বাড়তি পানি কমিয়ে রাখতে হবে