Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শিশুস্বাস্থ্য ও মৃত্যুহার প্রতিরোধ বিষয়ক জরিপ- বাংলাদেশ কার্যক্রম ও সম্ভাব্য প্রভাব সমূহ

ডা. ইকবাল আনসারী খান, আইইডিসিআর

 

 

বিশ্বব্যাপী ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার ১৯৯০ সালে প্রতি হাজারে জীবিত জন্মগ্রহণকারী শিশুর মাঝে ৯৩ ছিল যা নাটকীয়ভাবে কমে ২০১৯ সালে প্রতি হাজারে ৩৮জনে নেমে এসেছে। শিশুমৃত্যুহার শুমারির জন্য গঠিত জাতিসংঘের আন্তঃএজেন্সি গ্রুপের প্রতিবেদন বলছে (বিশ্বব্যাপী ৫ বছরের নীচের শিশু মৃত্যুহার) ১৯৯০-এর ১ কোটি ২৫ লাখ থেকে ২০১৯-এ ৫২ লাখে কমে এসেছে। এইসব মৃত্যুর সিংহভাগই দেখা গেছে সাব সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিন এশিয়ার নিম্নআয়ের অঞ্চলে। প্রায়শঃই এসব মৃত্যুগুলো ঘটে তাদের বাড়ীতেই যোগ্যতাসম্পন্ন চিকিৎসাকর্মীর দ্বারা পরীক্ষিত হবার আগেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত  রোগনির্ণয় যন্ত্রপাতির অভাব এবং একাধিক স্বাস্থ্যসমস্যার সহাবস্থানের কারণে প্রায়শঃই মৃত্যুর আসল কারণ উদঘাটন দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। রেজিস্ট্রি করা হয় না বলে অনেক মৃত্যু আসলে গণনার মধ্যেও আসে না।

এসব তথ্য ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য শিশু স্বাস্থ্য ও মৃত্যুহার প্রতিরোধ বিষয়ক জরিপ নেটওয়ার্ক (চ্যাম্পস) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাতে নির্ভরযোগ্য প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে শিশুমৃত্যুর আসল কারণ চিহ্নিত ও উপলব্ধি করা যায়। এই নেটওয়ার্কটি আশা করে এই সব কার্যক্রম সারাবিশ্বে ও বিভিন্ন দেশে কিভাবে কোথায় ও কেন শিশুরা মৃত্যুবরণ করছে তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে, যাতে করে স্বাস্থ্যসেবা বিতরণ ব্যবস্থা উন্নত, যথাযথ নীতিমালা ও কার্যক্রম গ্রহণ এবং জীবন বাঁচাতে সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায়, জাতীয় জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ইনস্টিটিউটগুলোর ব্যাপৃতিসহ সরকার ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্বজুড়ে অংশীজনদের সহযোগীতায় চ্যাম্পস একটি বিশাল নেটওয়ার্ক।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ পাঁচ বছরের নীচের শিশু ও মাতৃমৃত্যু  উল্লেখজনক হারে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্ম নেয়া শিশুর মাঝে ২২৯ টি মৃত্যু থেকে ২০১৯ সালে ৩৮ এ নেমে এসেছে। বাংলাদেশ এই নিম্নগতি স্বত্তেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ৩.২ অনুযায়ী প্রতিরোধযোগ্য নবজাতক ও পাঁচবছরের কমবয়সী শিশু মৃত্যুহার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী ও গর্ভস্থ শিশুদের মৃত্যুর কারণ বুঝতে পারা এবং প্রমাণ নির্ভর নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়নের মাধ্যমে শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পস-এ যুক্ত হয়। চ্যাম্পস বাংলাদেশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও  গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের সহযোগিতায় জাতীয় উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে কাজের জন্য শুরুতে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচিত হলেও পরে ফরিদপুর জেলার আরও ছয়টি উপজেলায় সম্প্রসারিত হয়। হাসপাতালভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাহিদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালকে নির্বাচিত করা হয়।

বালিয়াকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান যেখানে সাধারণ, বয়ঃসন্ধিকালীন, মা ও শিশু, পরিবার পরিকল্পনা এবং টিকাদান সেবাসহ উপজেলার ২,২০,০০০ মানুষের জন্য প্রতিরোধ ও প্রতিকার মূলক সেবা চালু আছে। এই কেন্দ্রটি প্রসবসুবিধা ও ছোটখাটো শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত। যেসব সেবা এখানে দেওয়া সম্ভব হয় না সেগুলো রাজবাড়ি সদর হাসপাতাল অথবা সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হাসপাতাল ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। এ দুটি ছাড়াও জাহিদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল, যেটি কিনা ফরিদপুরের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল, সেটিও তৃতীয় জরিপ কেন্দ্র  হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।

নমুনা কোষ পরীক্ষার একটি বিশেষ পদ্ধতি মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ টিস্যু স্যাম্পলিং ফ্যাসিলিটি’র সুবিধা সর্বপ্রথম ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর এই সুবিধা জাহিদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল এবং সবশেষে বালিয়াকান্দি উপজেলা কেন্দ্রে স্থাপিত হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে, অভিভাবকদের অনুমতিক্রমে চ্যাম্পস বাংলাদেশ, সদ্য মৃত শিশু বা মৃত অবস্থায় প্রসবকৃত শিশুদের ফুসফুস, হৃদপি-, মস্তিষ্ক, যকৃত, অস্থিমজ্জা থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মীদের মাধ্যমে কোষ সংগ্রহ করে থাকে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য আধুনিক গবেষণাগারে প্রচলিত ও উন্নত হিস্টোপ্যাথলজি ও মলিকিউলার স্ক্রিনিং পদ্ধতি ব্যবহার করে সংগৃহীত কোষের মাঝে বিভিন্ন ধরণের প্যাথজেন অনুসন্ধান করা হয়।

বালিয়াকান্দি উপজেলায় চ্যাম্পস বাংলাদেশ গর্ভাবস্থা জরিপ ও জিআইএস ম্যাপিং এর মাধ্যমে প্রায়শঃ অনুল্লিখিত নবজাতক ও গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু চিহ্নিত এবং তার কারণ অনুসন্ধানের জন্য জনতাত্ত্বিক ও খানাভিত্তিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য একটি জনতাত্ত্বিক জরিপ ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। চ্যাম্পস বাংলাদেশ একটি জনগোষ্টির মাঝে সম্প্রসারিত সম্পৃক্ততা গড়ে তুলে গঠনমূলক গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ঐ জনগোষ্ঠিকে চ্যাম্পস কর্মকান্ড সম্পর্কে  সংবেদনশীল করে তুলতে এটি চালু থাকবে। এই সম্পৃক্ততা ও গবেষণা কোষ নীরিক্ষা ও গর্ভাবস্থা জরিপ সম্পর্কে ঐ জনগোষ্ঠির সম্ভাব্যতা ও ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা নির্ণয়ে সাহায্য করবে। অধিকন্তু জনসম্পৃক্ততা বজায় রেখে কোষ নীরিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তার পাশাপাশি সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা দান ও রেফারেল ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে একটি কল সেন্টারও চালু করা হয়েছে।

যে কোন মৃত শিশু, হোক সে গর্ভাবস্থাতে মৃত, স্থানীয় জনগণ এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র দ্বারা চিহ্নিত হবে। প্রথম পর্যায়ে কোষ নীরিক্ষণ কার্যক্রম নিকটস্থ স্বাস্থ্য সুবিধা দ্বারাই পরিচালিত হবে। ২য় পর্যায়ে বালিয়াকান্দিতে স্থানীয় পর্যায়ে মৃত্যু চিহ্নিত করণের পর স্থানীয় পর্যায়েই  কোষ নীরিক্ষণ আরম্ভ হয়ে, অভিভাবকের অনুমতিক্রমে মৃতদেহ বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে থাকে। অধিকন্তু রোগতাত্ত্বিক উপাত্তসহ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মৌখিক ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়ে থাকে (সকল মারাত্মক কেসের ক্ষেত্রে)। মা ও অসুস্থ শিশুর ক্ষেত্রে রোগের আসল কারণ নির্ণয়ের জন্য ‘ডিকোডি’ প্যানেলের মাধ্যমে সকল ক্লিনিক্যাল তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সর্বপরি এইসব অকালমৃত্যু প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ডিকোডি’ প্যানেল এই সমস্ত মৃত্যুর ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে থাকে। আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি-এর সহযোগিতায় চ্যাম্পস কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য উপাত্ত হতে নীতিমালা প্রণয়ন, বিতরণ এবং বাস্তবায়নের জন্য কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে উপাত্ত উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে।

চ্যাম্পস বাংলাদেশ এর কার্যক্রম, পর্যবেক্ষণ, সহজ কার্যকরণ পদ্ধতি এবং প্রতিকারের উপায় অনুসন্ধানসহ সেগুলোর বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কারিগরী ও সমন্বয়ক কমিটি নামে নীতিনির্ধারকদের সমন্বয়ে ২টি কমিটি গঠিত হয়েছে।

এটা অনুমেয় যে চ্যাম্পস বাংলাদেশ এর নির্দিষ্ট এলাকা হতে প্রাপ্ত প্যাথলজিকালি প্রমাণিত তথ্য উপাত্ত অবশ্যই শিশু মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য অনুধাবনে সহায়তা করবে, প্রতিকারের পথ প্রণয়ন করবে এবং সময়োপযোগী যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশুদের অকাল অসুস্থতা ও মৃত্যুহার সর্বনিম্ম পর্যায়ে নামিয়ে আনবে।

জন্মের কিছুটা আগের ও পরের সময়টা বাংলাদেশের শিশুদের জীবনচক্রের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাল। চ্যাম্পস বাংলাদেশ এর তথ্য থেকে জানা যায় যে বালিয়াকান্দিতে নবজাতক আর গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু দুটিই শিশুমৃত্যুর মূল কারণ। চ্যাম্পস বাংলাদেশ সেপসিস, গর্ভস্থ শিশুর শ্বাসকষ্ট, অকালপক্কতা, স্বল্প ওজনের শিশু এবং জন্মের সময় শ্বাসকষ্ট  ইত্যাদিকে ৫ বছরের কমবয়সী শিশুর মৃত্যুর প্রধানতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আবার এই ধরণের মৃত্যুগুলোর সাথে মায়ের কিছু শারীরিক অবস্থা যেমন, বাধাপ্রাপ্ত বা দীর্ঘায়িত প্রসব, অপরিণত পানিভাঙা, জরায়ুর পানি কমে যাওয়া, খিচুঁনী, অন্যান্য অসুখ যেমন উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, মূত্রনালির সংক্রমণ, রক্তস্বল্পতা, জরায়ুফুল সংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি সম্পর্কিত থাকে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে অনীহা এবং একারণে অনিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ, ইত্যাদিও শিশু মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত।

‘ডিকোডি’ বৈঠকগুলোতে বেশ কিছু সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংকট  চিহ্নিত যা এইসব অকাল মৃত্যুগুলোর পেছনের বা প্রত্যক্ষ কারণ হতে পারে। যেমন বাল্যবিবাহ, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ বিষয়ক সঠিক সিদ্ধান্তের অপ্রতুলতা, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে, জ্ঞানভিত্তিক বিষয় যেমন বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে উপলব্ধ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সেবাগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতার অভাব, ব্যক্তি মালিকানাধীন সেবা সমূহের স্বার্থান্বেষণ, সেবাদানকারীদের গুনগতমান, সেবা প্রদায়ী সংস্থার অবহেলা, সেবাসমূহের অপ্রতুলতা, প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাব ইত্যাদি। প্রায় সমস্ত মৃত্যুগুলোই প্রতিরোধযোগ্য বা পরিহার্য হতে পারে যদি সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যায়, যদি মহিলাদের নিজেদের যত্ন নেয়া বিষয়ে জ্ঞানদান করে তাদের ক্ষমতায়ন করা যায়, যদি তাদের এলাকায় জনস্বাস্থ্য সেবা সহজে উপলব্ধ হয়। একই সাথে অভিভাবক, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গর্ভকালীন সময়ে নারীর দূর্বলতা এবং এসময়ে প্রয়োজনীয় যত্নের ব্যপারে সঠিক শিক্ষাদানের ওপর জোর দেয়া উচিত।

অনেকগুলো সমস্যা খুব সহজ কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা যায়, যেমন- চলমান কর্মসূচীগুলো পূনর্মূল্যায়ন, মাতৃত্বকালীন এবং নবজাতকের যতেœর গুনগত মান নিশ্চিতকরণ, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ধাত্রী নিয়োগ এবং সর্বোপরি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ জোরদার করা। অন্যান্য বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কিছু নতুন দিকনির্দেশনা প্রয়োজন যা ইতোমধ্যেই চ্যাম্পস পরিকল্পনা করেছে এবং কিছু কিছু শুরুও হয়েছে। শক্তিশালীকৃত ‘মা ও শিশুস্বাস্থ্য’ কর্মসূচি এইসব প্রমাণ নির্ভর দিকনির্দেশনার সাথে সমন্বয় ঘটিয়ে নিশ্চয়ই বাংলাদেশে মা ও শিশুস্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে।