Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

চিকিৎসকদের জ্ঞাতব্য (2nd Edition)

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন, ডা. আহমেদ নওশের আলম, ডা. এএসএম আলমগীর, আইইডিসিআর

 

 

রোগ নির্ণয়

জ্বরের সাথে রোগের উপসর্গ (পূর্বে বর্ণিত) মিলিয়ে নেয়ার পাশাপাশি জ্বরের উপসর্গ, রোগতত্ত্বের তথ্যাদি ও ভাইরোলজিক্যাল পরীক্ষাগুলোর ফলাফল হঠাৎ দেখা দেয়া জ্বরকে অন্য রোগ থেকে আলাদা করার জন্য জরুরি।

অন্য রোগের সাথে পৃথকীকরণ

অনেক সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগে ডেঙ্গু এবং মারাত্মক ডেঙ্গুর উপস্থিতিকে প্রচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে তাই স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সকলের ডেঙ্গু রোগের রোগতত্ত্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা উচিত।

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ

এ রোগ উপসর্গহীন অবস্থা থেকে সাধারণ জ্বর, ডেঙ্গু জ্বর, ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম হিসেবে উপস্থাপিত হতে পারে। মশা কামড়ানোর পর ৪ থেকে ১০ দিনের জন্য ভাইরাস একটা ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা সুপ্তাবস্থায় থাকে, তারপর উপসর্গগুলো দেখা দেয় এবং ২-৭ দিন থাকে। বয়সভেদে মানুষের উপসর্গও আলাদা হতে পারে। হাড়ে মারাত্মক ব্যথার কারণেই এর আরেক নাম হাড় ভাঙ্গা জ্বর।

ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা, প্রথম উপসর্গ দেখা দেবার (সাধারণত ৪-৫ দিন, সর্বোচ্চ ১২ দিন) পর থেকে এডিস মশা দ্বারা অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে ।

‘সকলের জেনে রাখা ভালো’ অংশে বর্ণিত উপসর্গগুলো দেখা গেলে ডেঙ্গু সন্দেহ করা উচিত।

রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষাদি

ক. ক্লিনিক্যাল: টুর্নিকেট টেস্ট

খ. ল্যাবরেটরীতে

১. সাধারণ পরীক্ষাসমূহ

* জ্বরের এক সপ্তাহের মধ্যে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, হিমাটোক্রিট ও প্লেটলেট কাউন্টসহ (রক্তের সব উপাদানের আলাদা আলাদা গণনা, অনুচক্রিকাসহ) রক্ত পরীক্ষা করতে হবে

- সব জ্বরের রোগীর সংক্রমিত হবার ১ সপ্তাহের মধ্যে

- উপসর্গ আছে এমন সব রোগীর

* বায়োকেমিক্যাল টেস্ট: সেরাম এএসটি ও এএলটি (লিভারের পরীক্ষা) করাতে হবে ৩ দিনের মধ্যে

* কোয়াগুলেশন প্রোফাইল: এটি রক্তের একটি ‘জমাট বাঁধার সময়’ পরীক্ষা

২. নির্দিষ্ট পরীক্ষাসমূহ

* এনএস ১: জ্বরের প্রথম ৩ দিনের মধ্যে

* আইজিএম: জ্বরের ৫ দিন পর

* পিসি আর: জ্বরের প্রথম ৫ দিনের মধ্যে

* আইজিজি: যেকোন সময়

৩. বিশেষ পরীক্ষাসমূহ

বিশেষ ক্ষেত্রে শরীরের প্রোটিন, সোডিয়াম, এ্যালবুমিন, ক্যালসিয়াম কমে গেল কি-না, ব্লাড ইউরিয়া, নাইট্রোজেন বেড়ে গেল কি-না বা বিপাকীয় অম্লতা আছে কি-না দেখতে হবে

মূত্রের আর/এম/ই (সাধারণ) পরীক্ষা, মলের অকাল্ট ব্লাড (রক্ত যায় কি-না) পরীক্ষা, বুকের এক্স-রে বা আল্ট্রাসোনোগ্রাফি (বুকে বা পেটে পানি জমেছে কি-না বোঝার জন্য পরীক্ষা) করতে হবে।

চিকিৎসা

* ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে চিকিৎসা হয় লক্ষণ-উপসর্গ অনুযায়ী

* নিবিড় পরিচর্যাই সবচাইতে জরুরি বিষয়

* দেহে প্রাণের অস্তিত্বের অত্যাবশ্যকীয় চিহ্নসমূহের নিবিড় পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ

* ২৪-৪৮ ঘন্টার সঙ্কটপূর্ণ সময়ে, জীবন বাঁচাতে অত্যাবশ্যক অঙ্গগুলোকে সচল রাখার জন্য শরীরে জল ও ইলেক্ট্রোলাইটের সর্বোত্তম প্রতিস্থাপন এবং রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে চিকিৎসা সন্তোষজনক হবে

* প্লাজমার প্রয়োজন সচরাচর হয় না কিন্তু কোন মতেই রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে রিকম্বিনেন্ট এক্টিভেটেড ফ্যাক্টর ৭ সরবরাহের পরামর্শ দেয়া হয়

 

আরো বিস্তারিত জানতে এবং চিকিৎসা সুনিশ্চিত করতে ‘ডেঙ্গু চিকিৎসা নির্দেশিকা’ দেখুন বা আইইডিসিআর-এ যোগাযোগ করুন

ডেঙ্গু উপসর্গের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় নির্দেশিকা প্রাপ্তিস্থান : আইইডিসিআর-এর ওয়েবপেজ

(https://www.iedcr.gov.bd/images/files/dengue/NationalGuidelineforDengue_2018.pdf)

অথবা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা প্রাপ্তিস্থান : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবপেজ

(http://www.wpro.who.int/mvp/documents/handbook_for_clinical_management_of_dengue.pdf)