বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগসহ অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের বিস্তার রোধ করতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে যা নিম্নে বর্ণিত হলো। এর মধ্যে রয়েছে হাত ও শ্বাসতন্ত্রের পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা।
১. সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন দুই হাত পরিষ্কার করুন
২. সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন
৩. কাশি শিষ্টাচার মেনে চলুন। হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় (টিস্যু দিয়ে বা বাহুর ভাঁজে) নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। সাথে সাথে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে টিস্যু ফেলে দিন এবং হাত ধুয়ে ফেলুন
৪. যার জ্বর বা কাশি আছে (শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ) তার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
৫. আপনার যদি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিন এবং স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে আপনার ভ্রমণ ইতিহাস খুলে বলুন
৬. প্রাণীর খামারে বা বন্যপ্রাণীর কাছে অরক্ষিত অবস্থায় যাবেন না
৭. কাঁচা বা আধারান্না করা প্রাণীর মাংস খাবেন না। কাঁচা মাংস, কাঁচা দুধ ও প্রাণীর অঙ্গ সাবধানে নাড়াচাড়া করবেন যেন রান্না না করা অন্যান্য খাবারের সাথে এগুলো মিশে না যায়। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার নিয়ম এটাই
৮. হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ করে জরুরি বিভাগে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করুন
ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বর্পূণ না হলে সমস্ত ধরণের ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করে তবে ভ্রমণের সময় বা পরে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ এর লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে ভ্রমণকারীদের দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে তাদের ভ্রমন ইতিহাস স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে খুলে বলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সকল প্রবেশ পথে নির্ধারিত নীতিমালা
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মহামারীকালীন এর প্রতিরোধকল্পে যে কোন স্থান/দেশ/এলাকায় প্রবেশের সময় (আন্তর্জাতিক বন্দর- বিমানবন্দর / গ্রাউন্ড ক্রসিং / জল বন্দর) কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেয়।
এখানে কিছু মূল বিষয় উল্লেখ করা হলো:
ক) প্রবেশের স্থানে ভ্রমণকারীদের স্ক্রিনিং:
১. প্রবেশ মুখে অবশ্যই হাত ধোয়ার সুবিধা থাকতে হবে, শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে
২. ভ্রমণকারীদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, জীবাণুনাশক ব্যবস্থা পেরিয়ে আসতে হবে, এবং “স্বাস্থ্য ডিক্লারেশন ফর্ম” পূরণ করতে হবে
৩. সবাইকে অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব ন্যূনতম ১ মিটার বজায় রাখতে হবে
৪. বন্দর কর্তৃপক্ষ সকল অবতরণকারী ব্যক্তিকে একটি স্বাস্থ্য কার্ড সরবরাহ করবে এবং অবশ্যই যাত্রীকে সেটি বুঝিয়ে বলা হবে
৫. সকল যাত্রীকে কোভিড ১৯ সম্পর্কে তথ্যসংবলিত লিফলেট সরবরাহ করা নিশ্চিত করতে হবে (বিভিন্ন ভাষায়)
খ) বিদেশ ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে করণীয়
অত্যাবশ্যক না হলে বর্তমানে বিদেশে ভ্রমণ পরিহার করা উত্তম
গন্তব্যে পৌঁছে গেলেঃ
১. নির্দিষ্ট কক্ষে থাকুন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবনে না
২. প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না।
৩. বাজার (জীবিত প্রাণী / মাংস / প্রাণীর অন্যান্য অঙ্গ কেনাবেচা হয়)/জনসমাগম এড়িয়ে চলুন
৪. করমর্দন, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন
৫.অসুস্থ ব্যক্তিদের/পশুপাখির সরাসরি সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
৬.মাছ-মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাবেন
৭.সবসময় মাস্ক ব্যবহার করবেন
৮.ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ)
৯. প্রতিদিন দুইবার শরীরের তাপমাত্রা মাপুন এবং যদি ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের, এর বেশি হয় তাহলে স্বাস্থ্য কার্ডে উল্লিখিত র্কতৃপক্ষকে জানান
গ) বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা সবসময় নিম্নলিখিত নির্দেশনাগুলি মেনে চলবেন
১. নিজেকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে করে রাখুন
২. ফিরে আসার পর থেকে ১৪ (চৌদ্দ) দিন বাড়ীতে আলাদা ঘর, বাথরুম ও টয়লেট ব্যবহার করুন। সম্ভব না হলে, পৃথক বিছানা ব্যবহার করুন, বাথরুম ও টয়লেটের জানালা খোলা রাখুন
৩. প্রতিদিন দুইবার শরীরের তাপমাত্রা মাপুন এবং যদি ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের, এর বেশি হয় তাহলে স্বাস্থ্য কার্ডে উল্লিখিত কর্তৃপক্ষকে জানান
৪.এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় যাবার পথে গাড়ীতে মাস্ক পরবেন। সম্ভব হলে গণপরিবহন ব্যবহার না করে নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করুন এবং পরিবহনের জানালা খোলা রাখুন
৫. সকল সময়ে কাশি শিষ্টাচার মেনে চলবেন (হাঁচি/ কাশির সময় বাহু/ টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন)
৬. এ সময় ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলুন এবং সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দুই হাত নিয়মিত পরিষ্কার করুন
৭. হাঁচি কাশির পরপরই/নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ধোবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ)
৮.অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
৯.করমর্দন, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন
১০. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, বাসার বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন
১১. মাছ-মাংস-ডিম ভালোভাবে রান্না করে খান
১২. চৌদ্দ দিনের মধ্যে লক্ষণ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি) দেখা দিলে প্রদত্ত-এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন এবং পরবর্তী করণীয় জেনে নিন
১৩. মৃদু অসুখের ক্ষেত্রে নিজ ঘরে অবস্থান করুন, নাক-মুখ ঢাকার জন্য মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করুন
১৪. পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একজন রোগীর সেবা করবেন। তিনি মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করবেন ও প্রতিবার রোগীর সংস্পর্শে আসার পর মাস্কটি ঢাকনা যুক্ত বিনে ফেলবেন এবং সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ধুয়ে ফেলবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ)
ঘ) বিদেশ ফেরত প্রতিবেশীদের জন্য করণীয়
বিদেশ ফেরত নাগরিক হলেই তিনি যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত- এ কথা সঠিক নয়। তারপরও সুস্থতার নিরাপত্তার স্বার্থে যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে প্রার্দুভাবযুক্ত দেশ থেকে এসেছেন তাদের জন্য নিম্নলিখিত সতর্কতা মেনে চলুন-
১. বিদেশ ফেরত প্রত্যেক যাত্রী বাংলাদেশে আগমনের দিন হতে ১৪ দিনের জন্য ‘কোয়ারেন্টিন’ -এ বা সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে পৃথক থাকতে এবং জরুরী প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
২. একান্ত প্রয়োজন না হলে তাকে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলুন।
৩. সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফিট) দূরত্ব বজায় রাখতে বলুন।
৪. নিয়মিত সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দুই হাত পরিস্কার করতে বলুন।
৫. এদের কারো ভেতর যদি নিম্নোক্ত উপসর্গ দেখা দেয়-
জ্বর (১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি),
কাশি,
গলাব্যথা,
শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি
সেক্ষেত্রে উল্লিখিত সাবধানতাগুলো মেনে চলুন এবং দেরী না করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের/আইইডিসিআর এর হটলাইনে যোগাযোগ করুন।
ঙ) বিদেশ থেকে ফিরতে ইচ্ছুকদের সহকর্মীদের করণীয়:
বর্তমানে যারা প্রার্দুভাবযুক্ত দেশে অবস্থান করছেন, তাদেরকে বাংলাদেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করুন। যদি তাদের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন অত্যাবশ্যক হয়, সেক্ষেত্রে তাদের উপরোল্লিখিত সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিন এবং স্বাস্থ্য অধদিপ্তর/আইইডিসিআর এর হটলাইন সম্পর্কে অবহিত করুন।
স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য নির্দেশনা
স্বাস্থ্যসেবাদানকারীগণ আগে থেকেই নির্দেশনা জানাবেন যে কোভিড-১৯ রোগী সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কোথায় এবং কখন স্বাস্থ্যসেবার জন্য নিতে হবে, সবচেয়ে ভালো পরিবহন কোনটি হবে, কখন এবং কোন পথ দিয়ে নির্ধারিত হাসপাতালে প্রবেশ করতে হবে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কি ব্যবস্থা নিতে হবে, যেমনঃ
ক. অসুস্থ ব্যক্তি যেখানে যাবেন সেই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রকে জানাতে হবে একজন উপসর্গযুক্ত রোগী তাদের কেন্দ্রে আসছেন
খ. সেবা নেওয়ার জন্য যাত্রাপথে অসুস্থ ব্যক্তিকে মেডিক্যাল মাস্ক পরাতে হবে
গ. গণপরিবহন পরিহার করতে হবে
ঘ. অসুস্থ ব্যক্তিকে সবসময় শ্বাসতন্ত্রের ও হাতের পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে।
অন্যদের কাছ থেকে কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্বে দাঁড়াতে বা বসতে হবে, পথে বা স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে যেখানেই হোক
ঙ. রোগী এবং তার সেবাদানকারীদের দুই হাতের যথাযথ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে
চ. পরিবহনকালীন কোন স্থানে যদি রোগীর দেহ নির্গত কোন তরল যেমন রক্ত, কফ, কাশি, লালা, ইত্যাদি পড়ে তবে দ্রুত তা পরিষ্কার করতে হবে ০.৫% ব্লীচ দ্রবণ (০.৫ ভাগ ব্লীচ ৯৯.৫ ভাগ পানি) দ্বারা- যা সচরাচর আমরা গৃহস্থালীতে ব্যবহার করি
ছ. কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হ্রাস করতে হবে। এমন ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে ও বজায় রাখতে হবে যেন কোভিড-১৯ সহ সকল জীবাণু মানুষের সংস্পর্শে না আসে। রোগী হাসপাতালে আসার আগে, পৌঁছানোর পর এবং অবস্থানকালীন পুরো সময়টাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে
জ. প্রমিত সতর্কতা, সংস্পর্শে আসার সতর্কতা, বায়ুবাহিত রোগ বিস্তারের সতর্কতার মানদন্ডে (যেখানে চোখের সুরক্ষাও অন্তর্ভুক্ত) বলা হয়েছে প্রতিটি ব্যক্তিই হাসপাতালের ভেতরে রোগের জীবাণু (সংক্রমিত বা কেবল প্রবেশকৃত) দ্বারা সংক্রমিত হবার ঝুঁকিতে থাকেন
তাই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে
ক. রোগী রাখার স্থান নির্ণয়ে
খ. হাতের পরিচ্ছন্নতায়
গ. ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণে (গ্লাভস/ দস্তানা, গাউনস/আলখাল্লা)
ঘ. শ্বাসতন্ত্রের সুরক্ষায়
ঙ. চোখের সুরক্ষায়
চ. এরোসল (বাষ্প) তৈরী হয় এমন চিকিৎসা বা পরীক্ষায়, শ্বাসতন্ত্রের নমুনা সংগ্রহকালে
ছ. স্বাস্থ্য কেন্দ্রে / হাসপাতালে দর্শনার্থীর যাতায়াত নিয়ন্ত্রণে এবং হাসপাতালের ভেতর দর্শনার্থীদের চলাচলে
জ. সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা কার্যকরে
ঝ. অসুস্থ ও ঝুঁকিতে থাকা স্বাস্থ্য সেবাদানকারীদের পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায়
ঞ. সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়নে
ট. স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করার ব্যবস্থা চালু করা
ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক ব্যবহারের নির্দেশাবলী
এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে, গ্রাম পর্যায়ে বা জনসাধারণের মাঝে প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (চবৎংড়হধষ চৎড়ঃবপঃরাব ঊয়ঁরঢ়সবহঃ) ব্যবহারের নিয়মাবলী সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক বলতে গ্লাভস, মেডিক্যাল মাস্ক, চশমা (গগলস) বা মুখ ঢাকার আবরণী, গাউন, এবং বিশেষ কার্যপদ্ধতির জন্য রেস্পিরেটর (এন ৯৫ ধরণের বা সমমানের) এবং এপ্রন বোঝানো হয়েছে। যারা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, গ্রাম পর্যায়ে বা জনসাধারণের মাঝে কাজ করবেন, তাদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক ব্যবহার কখন সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত সেই তথ্য-ও এখানে সন্নিবেশিত।
উদ্দেশ্যঃ
সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মানব-সুরক্ষা নিশ্চিত করা
ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক কে, কোন ধরণের ও কখন ব্যবহার করবেন
টেবিল ১ঃ কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব কালীন স্থাপনা, ব্যক্তি ও কাজের ধরণ অনুযায়ী নির্দেশিত ‘ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী’ (পিপিই)
ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক খোলা এবং ফেলে দেওয়ার ধাপসমূহঃ
- ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক খোলার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে যেতে হবে।
- ক্যাপ, মাস্ক, গগলস খুলতে হবে।
- গ্লাভাস পরে থাকা অবস্থায় ল্যাবরেটরী কোট ও শ্যু কাভার খুলতে হবে এবং তা বায়ো-হ্যাজার্ড ব্যাগ বা কালার কোডেড বিনে ফেলে দিতে হবে।
এরপর ডিটারজেন্টযুক্ত পানিতে ৩০ মিনিট (অথবা ০.০৫% হাইপোক্লোরাইট দ্রবণ দিয়ে ১০ মিনিট) ভিজিয়ে রেখে সংক্রমণমুক্ত করতে হবে এবং অটোক্লেভিং-এর জন্য পাঠাতে হবে। অটোক্লেভিং-এর পর এ সকল দ্রব্য স্যানিটারী ল্যান্ডফিলে পুঁতে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
- ল্যাবোরেটরীর জুতো পরে থাকলে তা হাত দিয়ে স্পর্শ না করে খুলে নিতে হবে (বুট রিমুভার দিয়ে করা ভালো) ।
- ব্যবহৃত গ্লাভসগুলো ফেলে দিতে হবে।
- সাবান পানি দিয়ে উপরে উল্লিখিত পদ্ধতিতে হাত সাবান পানি দিয়ে ধুতে হবে।
কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনঃ এদের মাঝে পার্থক্য
আইসোলেশনঃ আইসোলেশন দ্বারা অসুস্থ ব্যক্তিদের চলাফেরা বন্ধ করা হয় যেন সংক্রামক রোগটি সুস্থ ব্যক্তিদের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে।
কোয়ারেন্টিনঃ ‘কোয়ারেন্টিন’-এর অর্থ হচ্ছে সেইসব সুস্থ ব্যক্তিদের, যারা কোন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে, তাদের অন্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা রাখা, তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা এবং তারা ঐ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয় কিনা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তা পর্যবেক্ষণ করা। কোভিড-১৯ এর জন্য রোগের সুপ্তিকাল ১৪ দিন। কারন অন্যান্য করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে, দেখা গেছে ১৪ দিনই দীর্ঘতম সুপ্তিকাল। বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিদেশ ফেরত অথবা অন্য যে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ব্যক্তিদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন রেখেছে।