অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন, ডা. আহমেদ নওশের আলম, ডা. এএসএম আলমগীর, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ব্যক্তিগত পর্যায়েও অনেক কিছু করার রয়েছে। যেমন:
►চলাচল বা ভ্রমণ
* সম্ভব হলে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব ঘোষিত এলাকায় ভ্রমণ করবেন না
* শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, প্রি-স্কুল, স্কুল বা কর্ম ক্ষেত্রে সম্পূর্নরূপে মশা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করুন
* কারো যদি জ¦র হয় তাহলে সম্ভব হলে বাড়িতে বিশ্রাম নেয়াই ভাল
►ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা
* পোশাক পরিচ্ছদ: ফুলহাতা জামা, লম্বা পাজামা, মোজা, জুতা ইত্যাদি পরে যতদূর সম্ভব ত্বক ঢেকে রাখা উচিত
* রিপেলেন্ট: বড়রা অন্ততপক্ষে ১০% ডাইইথাইল- টলুয়ামাইড রিপেলেন্ট (মশা দূরে রাখার লোশন) ব্যবহার করতে পারেন
লম্বা সময়ের জন্য হলে আরো শক্তিশালী মাত্রায়। তবে ছোটদের জন্যে এটি উপযুক্ত নয়
* মশারি: অনেক রকমের মশার জাল বা মশারি পাওয়া যায় যাতে মশা মারার ওষুধ লাগানো থাকে, সম্ভব হলে এগুলো ব্যবহার করাই ভাল
দিনে বা রাতে ঘুমের সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে
একজন ডেঙ্গু রোগী তার প্রথম উপসর্গ দেখা দেবার পর ১২ দিন পর্যন্ত এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়াতে পারেন। তাই তাকে মশারির ভেতরে রাখাই শ্রেয়
* দরজা জানালার জালি: দরজা ও জানালাগুলোতে বিশেষ জালি লাগালে ঘরে মশার প্রবেশ ঠেকানো সম্ভব
* সময় নির্ধারণ: ভোর, গোধূলী এবং সন্ধ্যায় এডিস মশা কামড়ায় বলে এ সময় বের না হওয়াই ভালো
►পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা :
* জমে থাকা পানি: এডিস মশা পরিষ্কার স্থির পানিতে ডিম পাড়ে। তাই ঘরের মাঝে কোথাও পানি জমতে দেয়া যাবে না। যেমনঃ ছাদের কোণা, পড়ে থাকা খালি কৌটো, উঠোন, বাতিল টায়ার, ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের তলা, নির্মাণাধীন ভবনের আঙিনা, এসব জায়গায় যেন ২-৩ দিনের বেশি পানি না জমে থাকে।
বালতি বা ধারকগুলো ব্যবহৃত না হলে উলটে রাখতে হবে যাতে পানি না জমে। ফুলের টব আর ফুলদানী থেকে বাড়তি পানি কমিয়ে রাখতে হবে। ফুলদানীর পানি প্রতি ২য় দিনে বদলে দিতে হবে আর ফুলদানীর মুখটা ঘষে পরিষ্কার রাখতে হবে।