জুনোটিক এবং উদীয়মান সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ওয়ান হেলথ ধারণার সমর্থনে - চিকিৎসক, পশুচিকিৎসক, পরিবেশ বিজ্ঞানী, সুশীল সমাজ এবং উন্নয়নকর্মীদের সমন্বয়ে একটি বহু-মাত্রিক দল ‘ওয়ান হেলথ (ওএইচ) বাংলাদেশ’ নামের একটি ফোরাম গঠন করেছে। এডভোকেসি অব্যাহত থাকায় কোভিড-১৯, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিপাহ, জলাতঙ্ক এবং অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাবের তদন্ত, নজরদারি, প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে যৌথভাবে ওএইচ পদ্ধতির অনুশীলনকল্পে কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য একটি নতুন পথ খুলে যায়। এফএও দ্বারা ‘ওএইচ’ প্রশিক্ষণসহ সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-দ্বারা যৌথভাবে ফিল্ড এপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে ম্যাসি ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় ওএইচ স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ পদ্ধতির অনুশীলনের একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। সরকারী অংশীদার, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা যৌথভাবে ওয়ান হেলথ পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং সরকারী ব্যবস্থার অধীনে সুনির্দিষ্টলক্ষে পরিচালিত কার্যক্রম থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য একটি জাতীয় ‘ওয়ান হেলথ কৌশলগত কাঠামো’ এবং কর্ম পরিকল্পনা (২০১৭-২০২১) তৈরি করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের অংশ হিসেবে ওয়ান হেলথের বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আইইডিসিআর-এ অবস্থিত ওএইচ সেক্রেটারিয়েট সরকার ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অর্থায়নে কাজ শুরু করেছে। ওয়ান হেলথ বাংলাদেশ এবং ওয়ান হেলথ সেক্রেটারিয়েট নিয়মিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে (কিছু অনিবার্য পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম ছাড়া)। সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের কাছ থেকে দেশের অভ্যন্তরে গবেষণা ও সুশীল চর্চা বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা জানা ও বিনিময়ের সুযোগ তৈরী করা। ওএইচ পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের জন্য আলোচনা করা এবং দৃঢ় প্রতিশ্রুতি অর্জন করা এই সম্মেলনের আরেকটি উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, সমন্বিত নজরদারি কার্যক্রম ও প্রতিক্রিয়া, কর্মশক্তি উন্নয়ন এবং খাদ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সহ একদশকব্যাপী ওয়ান হেলথ কর্মযজ্ঞের ছাপ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।