Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সমস্যার ব্যাপ্তি

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন, ডা. আহমেদ নওশের আলম, ডা. এএসএম আলমগীর, আইইডিসিআর

 

 

ক. বিশ্ব পরিস্থিতি

ডেঙ্গু আক্রমণ তীব্রহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৫০ বছর ধরে যা প্রায় ৩০ গুণ বেড়েছে। ইউএস-সিডিসি-এর তথ্যমতে বিশ্বে প্রায় ৪০% লোক ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করে। এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, আমেরিকা, আফ্রিকা ও ক্যারীবীয় অঞ্চলের প্রায় ১০০টি দেশে  এ রোগ মহামারী আকারে ছড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে প্রতি বছর ৫ থেকে ১০ কোটি লোক এই রোগে আক্রান্ত হয় যার মাঝে ৫ লক্ষ হেমোরেজিক জ্বরে ভোগে আর ২২০০০ মৃত্যুবরণ করে (অধিকাংশই শিশু)। 

খ. বাংলাদেশে ডেঙ্গুর চিত্র

১৯৬৫ সালে প্রথম ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় যা ‘ঢাকা জ্বর’ নামে নথিভুক্ত আছে। পরবর্তীতে ১৯৭৭-৭৮ এ বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জ্বরের খবর পাওয়া যায়। ১৯৯৬-৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ২৫৫ জন জ্বরের রোগী পরীক্ষা করে ১৩.৭%-এর মধ্যে ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়।

২০০০ সালে বাংলাদেশ ডেঙ্গু ও ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের বড় রকম প্রাদুর্ভাবে পড়ে, তারপর থেকেই এটি বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে মহামারী আকারে দেখা দিচ্ছে। ২০০০ সালের প্রাদুর্ভাবের সময় ডিইএনভি-৩ এর প্রাধান্যসহ ৪ ধরনের সেরোটাইপের সংক্রমণই লক্ষ্য করা গেছে যা ২০০২ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে অবশ্য ডিইএনভি-১ ও ডিইএনভি-২ এর উপস্থিতিই লক্ষ্য করা গেছে। ডিইএনভি-৩ এর পুনরাবির্ভাব দেখা যায় গত বছর। ২০১৮-তে উল্লেখযোগ্য হারে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে যা বিগত ১৫ বছরের তুলনায় আশঙ্কাজনক। উপরন্তু আইইডিসিআর-এর অপ্রকাশিত তথ্যমতে এ বছর দুই বা ততোধিক সেরোটাইপের সহসংক্রমণ বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ১ম ও ২য় গ্রাফচিত্রে গত কয়েক বছরে ডেঙ্গু আক্রমণের হার এবং মৃত্যুহারের পরিসংখ্যান দেয়া হলো।